নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ মহানগর গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আলী হোসেন এর দিক নির্দেশনায় সহকারী পুলিশ কমিশনার (অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোঃ কামরুল হাসানের তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে সিএমপি ডিবি উত্তর বিভাগের টিম নং-৩৪ গত ২৭ জুন ৯ টা ৫০ মিনিটের সময় বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন হাটহাজারী রোডস্থ, পশ্চিম শহীদনগর, জানে আলম টাওয়ার, ৫ম তলা, ৫০২ নং ফ্ল্যাটে অভিযান পরিচালনা করে নুর আলম, হাছিনা বেগম ও হাছিনা বেগম প্রঃ মিনোয়ারা প্রঃ মুন্নি (২৬)দের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবার ব্যবসা করার কথা স্বীকার করে।
পরবর্তীতে তাদের দেখানো মতে তাদের বসতঘরের বিভিন্ন ফার্নিচারের নিচে বিশেষ কৌশলে লুকায়িত অবস্থায় ৪৫০০(চারহাজার পাঁচশত) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ইয়াবা বিক্রির নগদ ১,৫০,০০০ (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, মাদক ব্যবসার টাকায় ক্রয় করা ১০(দশ)টি স্বর্ণের চুড়ি, ০৬(ছয়)টি স্বর্ণের আংটি, ১(এক)টি স্বর্ণের চেইন লকেট, ১(এক) জোড়া স্বর্ণের কানের দুল উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, গ্রেফতারকৃত নূর আলম ও তার স্ত্রী হাছিনা বেগম মায়ানমারের নাগরিক। নূর আলমের পিতা-মাতা, ভাই, বোন বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছে।
তারা মায়ানমার থেকে অনেক দিন আগেই বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে র্দীঘদিন যাবৎ চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্নস্থানে বসবাসের আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করছে।
নূর আলম ও তার স্ত্রী হাছিনা বেগম অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে এনআইডি কার্ড ও জন্মনিবন্ধন তৈরি করে বাংলাদেশে থেকে মাদক বিক্রি করে অবৈধ আয়ে স্ত্রীর জন্য স্বর্ণালংকার, অত্যাধুনিক মোবাইল সেট এবং চট্রগ্রাম শহরে সম্পত্তি ক্রয় করে।
নূর আলম ও হাছিনা বেগম এর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে।