বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং সড়ক ও চট্টগ্রাম জনপথ বিভাগের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান

Uncategorized আইন ও আদালত

!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে বৃহস্পতিবার ৫ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৩ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে যুক্ত হওয়া ১০টি মিটার গেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) ক্রয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে রেল ভবন, ঢাকাতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার ও উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ কামিয়াব আফতাহি-উন-নবী এর সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম বৃহস্পতিবার ৩০ জুন এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে টিম সচিব এবং মহাপরিচালক সহ প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে। রেলের লোকোমোটিভ ইঞ্জিন ক্রয়ের নিমিত্তে ২০১৫ সালে ‘‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য লোকোমোটিভ রিলিফ ক্রেন এবং লোকোমোটিভ সিমুলেটর সংগ্রহ’’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। উক্ত প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফায় বৃদ্ধি করে জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত করা হয়। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় ইঞ্জিনগুলোতে তিনটি ক্যাপিটাল কম্পোনেন্টের ভিন্নতা আছে, যা চুক্তি বহির্ভূত। চুক্তিতে ৩০০০ হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন দেওয়ার কথা থাকলেও ২০০০ হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে, টিএ-১২ মডেলের অল্টারনেটরের পরিবর্তে টিএ-৯ মডেল সংযোগ করা হয়েছে, এছাড়া ২৯০৯-৯ মডেল এর পরিবর্তে ২৯০৯ মডেল দেওয়া হয়েছে।রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা পূর্বক টিম এ বিষয়ে শীঘ্রই কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

সড়ক ও জনপথ কর্তৃক বাস্তবায়িত চট্রগ্রামের “মীরসরাই-ফটিকছড়ির নারায়নহাট সংযোগ সড়ক” এর ১২ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারে নিয়োগকৃত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান “হযরত শাহজালাল ব্রিক ম্যানুফেকচার”-এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার ৩০ জুন, দুদক, জেলা কার্যালয়, চট্রগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক ইমরান খান অপু, উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল মালেক ও মোঃ সালাহ উদ্দিন এর সমন্বয়ে গঠিত টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় এনফোর্সমেন্ট টিমের সাথে নিরপেক্ষ উপজেলা প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন ।
অভিযানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। টিম সরেজমিনে রাস্তার কাজ পর্যবেক্ষণ করে এবং রাস্তা সংস্কার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদানের গুনগত মান সঠিক আছে কি-না; তা পরবর্তীতে নিরপেক্ষ প্রকৌশলী কর্তৃক যাচাই/ল্যাবরেটরি টেস্টের ফলাফল পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন- ১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্ক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৩ টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *