নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আন্তঃজেলা গাড়ি চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার সহ চুরি যাওয়া গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা জেলা।
গ্রেফতারকৃ তরা হলেন, মাদারীপুর জেলার শিলারচর গ্রামের মৃত জব্বার বেপারীর ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৬) এবং লক্ষ্মীপুর জেলার থানার মৃত ফজল আহম্মেদ এর ছেলে মোজাম্মেল হোসেন (৪৫)। গত শুক্রবার ১ জুলাই, মোহাম্মদপুর তিন রাস্তা এবং চাঁদ উদ্যান থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গত ২ জুলাই গভীর রাতে বাদীর কেরানীগঞ্জ থানাধীন পুরাতন ভাড়ালিয়া কামাল মিয়ার ভাড়া বাসা থেকে একটি নিশান প্রাইভেট কার ঢাকা মেট্রো খ ১২—৯০১৩ অজ্ঞাতনামা চোরের দল চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গাড়ির মালিক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা নং -২৬, তারিখ- ১৩/০৬/২০২২, ধারাঃ ৩৮০ পেনাল কোড আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ মামলাটির তদন্ত শুরু করেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ চুরি যাওয়া গাড়িটি উদ্ধার সহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্তপূর্বক গ্রেফতার করতে ব্যার্থ হলে মামলাটি পিবিআই এর সিডিউলভুক্ত মামলা হওয়ায় পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স এর নির্দেশে পিবিআই ঢাকা জেলা মামলাটির তদন্তভার স্ব-উদ্যোগে গ্রহণ করে। পুলিশ সুপার, পিবিআই ঢাকা জেলা এর হওলা মতে পিবিআই ঢাকা জেলার এসআই আনোয়ার হোসেন বিধি মোতাবেক মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন।
মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিনি মামলার ঘটনার সাথে জড়িত দুই আসামী সহ চুরি যাওয়া গাড়ি উদ্ধার করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন এবং টীম ইনচার্জ এসআই সালেহ ইমরান জানান, দায়িত্ব পাওয়ার পর আমরা একটি সিসিটিভি ফুটেজ পাই।
উক্ত ফুটেজ এর সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়ে আসামী মামুন এবং মোজাম্মেল হোসেনকে শুক্রবার ১ জুলাই, মোহাম্মদপুর তিন রাস্তা এবং চাঁদ উদ্যান এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করি।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার ২ জুলাই ভোর রাতে কিশোরগঞ্জ সদর থানাধীন মারিয়া ইপিজেড এলাকা থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। আসামীরা বিভিন্ন টাওয়ার থেকে ব্যাটারী এবং দোকান এর তালা কেটে মালামাল চুরির ঘটনায়ও জড়িত মর্মে স্বীকার করে। সেই সাথে এই চক্রের আরো সদস্যের নাম প্রকাশ করেছে।
পিবিআই ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম পিপিএম সেবা জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।