কুমিল্লার বুড়িচংস্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এবং কুষ্টিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান

Uncategorized আইন ও আদালত

 !! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে গতকাল বুধবার ৬ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ টি দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করা সহ ৪ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বুড়িচং, কুমিল্লা’র ময়নামতি গরুর হাট হতে গন্ডুল গ্রাম পর্যন্ত রাস্তা নির্মান/সংস্কার কাজে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রীর ব্যবহারের অভিযোগে গতকাল বুধবার ৬ জুলাই দুদক, সজেকা, কুমিল্লা-এর সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা এবং সহকারী পরিদর্শক জনাব আনোয়ারুল মাসুদ-এর সমন্বয়ে গঠিত টিম একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান পরিচালনা কালে টিম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, কুমিল্লা হতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে এবং উক্ত রাস্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করে রাস্তার থিকনেস, দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ পরিমাপ করে। এসময় রাস্তা নির্মাণে ব্যবহৃত কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত বিটুমিন নিম্নমানের মর্মে প্রাথমিকভাবে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। এছাড়া রাস্তার কিছু জায়গায় পানি জমে থাকার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, বর্ণিত বিষয়ে পুনরায় আর কোন অভিযোগ যেনো না আসে, সে বিষয়ে তার দফতর সচেষ্ট থাকবে। টিম এ বিষয়ে শীঘ্রই কমিশনের নিকট বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
ডেপুটি কালেক্টর, কুষ্টিয়া-এর এলএ কেস নং ৬৯/৬১-৬২ ও কেস নং ১৫/৬২-৬৩ মূলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, কুষ্টিয়া-এর অনুকূলে ৩.৪৯ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
উক্ত জমি অধিগ্রহণের পর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নামজারির আবেদন করেনি এবং কোন খাজনা পরিশোধ করে নাই। ফল, উক্ত ভূমি সুপ্রীতি বালা দেবী জং- সুধীর কুমার দাসের নামে এসএ রেকর্ড বহাল থাকে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে সুপ্রীতি বালার ওয়ারিশ হিসেবে সুকুমার দাস ও অপূর্ব কুমার দাস সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, কুষ্টিয়া বরাবর বর্ণিত জমির দাবিদার উল্লেখ করে দেওয়ানী মোকদ্দমা নং-২২১/১৭ দায়ের করেন এবং একই সাথে দুর্বিত্তদের সহযোগিতায় উক্ত জমি দখলের চেষ্টা করে। উক্ত মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে অপূর্ব ও সুকুমারকে সুপ্রীতি লতার ওয়ারিশ হিসেবে সনদ কুমার, সদস্য, মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, পাংশা, রাজবাড়ী কর্তৃক ওয়ারিশ সনদ প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, কুষ্টিয়া বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কুষ্টিয়া বরাবর সুকুমার ও অপূর্ব দাসের বিরুদ্ধে মিসকেস নং- ৯৭/২০২২ দায়ের করে। টিম সংশ্লিষ্ট বিষয়ের রেকর্ডপত্রসমূহ বিস্তারিত পর্যালোচনা করে কমিশনের বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন- ১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্ক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৪টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *