মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলে একাধীক চাঁদাবাজির অভিযোগে,চাঁদাবাজ নামধারী সাংবাদিক হাফিজুল করিম নিলুর বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলী আদালতে চাঁদাবাজীর অভিযোগ করে,নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের তুলারামপুর দক্ষিনপাড়া গ্রামের আরিফুল কবির এর স্ত্রী আয়শা আজমিনা ডালিয়া বাদি হয়ে,নড়াইল সদর আমলী আদালতে একটি চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করেন,চাঁদাবাজ নামধারী সাংবাদিক হাফিজুল করিম নিলুর নামে। এ মামলা করার কারনে,আরিফুল কবির এর স্ত্রী মামলার বাদি আয়শা আজমিনা ডালিয়া’র বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন সময় অভিযুক্ত চাঁদাবাজ নিলু মামলা তুলে নিতে অনবরত প্রান নাশের হুমকি প্রদানসহ তার নানা অপকর্মের সহযোগি সাঙ্গপাঙ্গোদের নিয়ে দফায় দফায় বাদির বাড়িতে চড়াও হয়ে,বাদিসহ বাদির স্বামীকে অশ্রাব্য ভাষায় পালিগালাজসহ নানা ভয়ভীতি দেখাইতেছে,এবং টাকার বিনিময়ে মামলা মিমাংশা করার জন্য নড়াইল জেলার বিভিন্ন নেতা কর্মিসহ গণমান্য বেক্তিদের দিয়ে অনিয়ম ভাবে চাঁদাবাজির মামলা মিমাংশা করার যোঁর চেষ্টা করছে বলেও বাদি সাংবাদিকদের জানান। চাঁদাবাজি মামলার বাদি আয়শা আজমিনা ডালিয়া ও তার স্বামী আরিফুল কবির,সাংবাদিক মো:রফিকুল ইসলামকে জানান,আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল,আইন যে বিচার করবে,আমরা সেই বিচার মাথা পেতে নিবো কিন্তু আমি টাকার জন্য অনিয়ম দূর্নীতি কে আপষ করবো না,বলেও জানান। এদিকে,বাদির জিডির বিবরনে জানা যায়,আয়শা আজমিনা ডালিয়া,স্বামী আরিফুল কবির,সাং তুলারামপুর,সদর থানা নড়াইল,এই মর্মে সাধারণ ডায়েরী করিতেছি যে,এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ,সুদে কারবারি ও সাংবাদিক নামধারী চিহ্নিত টাউট,আসামী এস এম হাফিজুল করিম ওরফে নিলু,আমাদের সরলতা ও অসহায়ত্বের সুযোগে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে আমাদের নিকট থেকে ১১ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে এবং আমার স্বামীর অসুস্থতার কারনে আমি বাদি হয়ে গত ২৭/০৬/২২ তারিখে আসামী হাফিজুল করিম নিলুর বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলী আদালতে একটা চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করি। যা,সদর থানার মামলা নং ১৮- তারিখ ২৮/০৬/২২ এবং আপনার দপ্তরে তদন্তাধীন রয়েছে। এর পরই নিলু মামলা তুলে নিতে আমাদের অনবরত প্রান নাশের হুমকি প্রদান করিতেছে। সে তার নানা অপকর্মের সহযোগি সাঙ্গপাঙ্গোদের নিয়ে দফায় দফায় আমার বাড়ি চড়াও হয়ে আমাকে ও আমার স্বামীকে অশ্রাব্য ভাষায় পালিগালাজসহ নানা ভয়ভীতি দেখাইতেছে। মামলা দায়েরের পর সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আজও চাঁদাবাজ সাংবাদিক নামধারী নিলু আটক না হওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং তাকে কেউ কিছু করার ক্ষমতা রাখে না,মর্মে নানা আস্ফালন করিতেছে। এ অবস্থায় যে কোন সময় জানমালের ক্ষতির আশঙ্কায় পরিবার পরিজন নিয়ে আমাদের চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে বলেও জিডিতে উল্লেখ করেন,ভুক্তভোগী বাদি আয়শা আজমিনা ডালিয়া বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন।