আজকের দেশ ডেস্ক : সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকো’র দুটি শোধনাগারে হামলার ঘটনায় এবার মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হামলার জন্য ইরানকে দায়ী বলেছেন, এজন্য তেহরানকে মাসুল গুণতে হবে। এই হামলার জবাবে তাদের ওপর পাল্টা হামলা চালানো হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি।
এর আগে মার্কিন প্রশাসনের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাও সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছিলেন।
তবে শুরু থেকেই সৌদি তেল শোধনাগারে হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে ইরান সরকার। এছাড়া ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এ হামলা দায় স্বীকার করেছে।
এদিকে ওই হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় বিশ্বের তেল বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ফলে সোমবার তেলের দাম ১৯ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রোববার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প ইরানকে লক্ষ্য করে বলেন, এটা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, আমরা জানি আসল অপরাধী কে এবং আমরা তাদের উপযুক্ত জবাব দেয়ার জন্য তৈরি আছি। তবে আমরা কেবল এ ব্যাপরে সৌদি সরকারের বিবৃতির জন্য অপেক্ষা করছি।
এর আগে উর্ধ্বতন এক মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্রের ওপর হামলার পিছনে যে ইরান জড়িত, এ বিষয়ে তাদের হাতে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। যদিও এ হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ইয়ামেনের হুতি বিদ্রোহীরা।
এ সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, হামলাটি ইয়েমেন থেকে এসেছে এটা বিশ্বাস করার মতো কোনো প্রমাণ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে গত চার বছর ধরে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। অন্যদিকে হুতিদের সামরিক সহায়তা দিচ্ছে ইরান। ফলে হুতিদের কেন্দ্র করে দু দেশের মধ্যে কয়েক বছর ধরেই ছায়া যুদ্ধ চলছে। তবে গত শনিবারের ওই হামলাকে কেন্দ্র করে দু দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা বেড়ে গেছে, যা নিয়ে হুমকি দিয়েছেন স্বয়ং ট্রাম্প।