কুটনৈতিক বিশ্লেষক ঃ ঋণ খেলাপি হওয়া এড়াতে বিদেশীদের কাছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু পাকিস্তানের। রাষ্ট্রের সম্পদ জরুরিভাবে বিদেশে বিক্রির মাধ্যমে দেশকে ঋণ খেলাপির হাত থেকে বাঁচানোর মরিয়া প্রচেষ্টায় পাকিস্তান। দেশটির ফেডারেল মন্ত্রিসভা এই প্রক্রিয়ার একটি অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে এবং এছাড়াও ছয়টি প্রাসঙ্গিক আইনের বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আন্তঃসরকারি বাণিজ্যিক লেনদেন অধ্যাদেশ ২০২২-এর মাধ্যমে, কেন্দ্র থেকে প্রাদেশিক সরকারগুলোকে জমি অধিগ্রহণের জন্য বাধ্যতামূলক নির্দেশ জারি করার ক্ষমতাও দিয়েছে। তবে এই অদ্যাদেশে এখনো স্বাক্ষর করেননি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, পাকিস্তান সরকার আদালতকে অন্য রাষ্ট্রের সরকারি কোম্পানির সম্পদ ও শেয়ার বিক্রির বিরুদ্ধে কোনো আবেদন গ্রহণে বাধা দিয়েছে।বৃহস্পতিবার ফেডারেল মন্ত্রিসভা এই অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে। যাতে করে তেল ও গ্যাস কোম্পানি এবং সরকারী মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অংশীদারিত্ব সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে বিক্রি করা সম্ভব হয়। এতে দেশটির রিজার্ভ ২ থেকে ২.৫ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পাবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত মে মাসে ইসলামাবাদের আগের ঋণ ফেরত দিতে অক্ষমতার কারণে নগদ আমানত দিতে অস্বীকার করেছিল।অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল এই সপ্তাহে বলেছেন যে, একটি বেসরকারী লেনদেন সম্পূর্ণ করতে সাধারণত ৪৭১ দিন সময় লাগে। সরকারকে জরুরিভাবে তহবিল সংগ্রহের জন্য কয়েক দিনের মধ্যে বিদেশী দেশগুলোর সাথে চুক্তি করতে হয়।