নড়াইলে বসতঘরে আগুনের ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে,মনোমালিন্য,তদন্তে বেরিয়ে আসুক আসল রহস্য

Uncategorized আইন ও আদালত

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল পৌর-সভার কুড়িগ্রামে প্রতিবেশীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টায় বাশগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন,মোঃ আব্দুল্লাহ বিন খালিদ। কুড়িগ্রামের মোঃ আমজাদ হোসেন মৃধার ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ বিন খালিদের তিন তলা বাড়ির সিড়ি ঘরে পেট্রোল ঢেলে বাড়ির লোক জনকে হত্যার উদ্দেশ্যে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং আগুন নিভাতে গিয়ে বাড়ির মালিকসহ ৫জন আগুনে পুড়ে আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আগুন ধরলে বাড়ির লোকের আত্মচিৎকারে কে বা কারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মি’রা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় আগুনে পুড়ে আহত হয়ে বাড়ির লোকজন নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মামলা দায়ের করে। আগুনে পুড়ে বাড়ির,দরজা,জানালা,আসবাবপত্র,২০০ শত মুরগীসহ মুরগির ঘর,কবুতরের ঘরসহ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এদিকে,২০০ মুরগী আগুনে পুড়েছে অভিযোগ করলেও কোন পোড়া মুরগী দেখা যায়নি বা তার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি এবং মুরগী পুড়েছে তার কোন ছবিও পাওয়া যায়নি মামলার বাদি আব্দুল্লাহ বিন খালিদ এর কাছে এবং অন্যান্য ছবি থাকলেও নেই কোন মুরগী পোড়ার ছবি বা আলামত কিন্তু আব্দুল্লাহ বিন খালিদ জানান,মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে সকল আলামত আছে। আব্দুল্লাহ বিন খালিদ আরো জানান,আমি বার বার থানায় যেয়েও থানায় মামলা করতে পারি নি এবং আমার মামলা থানায় না নিলে আমি কোর্টে মামলা করেছি,চেয়ারম্যান যদি আগুন না দেয় তাহলে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন বাড়িতে থাকতো বলেও এ প্রতিবেদককে জানান। অনুষন্ধানে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,১৩ শতক জমির একটি প্লটে মো: আলম হোসেন,৩ শতক,মো: রফিকুল ইসলাম,৪শতক ও আব্দুল্লাহ্ বিন খালিদ,৬শতক জমি কিনে তিনজন বাড়ি করে বসবাস করে আসছে এবং ১৩ শতক জমির একটি মাত্র দলিল। এই তিনজন বসবাসকারীর চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে দির্ঘদিন ধরে। ভিক্টোরিয়া কলেজের সামনে মহিলা হোস্টেলের গার্ড আক্তার হোসেন জানান,আমি দুপুরে দেখি রফিকুল চেয়ারম্যানের বিল্ডিংএ আগুনের ধোয়া বের হচ্ছে,তাড়াতাড়ি চেয়ারম্যানকে বিল্ডিং এর নিচ তলাই ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে আগুনের বিষয়ে জানালে,তিনি সাথে সাথে আমাকে নিয়ে তার ছাদে গেলে দেখি,উনার ছাদে আগুন ধরেনি কিন্তু পাসের বিল্ডিংএ আগুন ধরেছে,এসময় চেয়ারম্যানের ছেলে অনিক ফায়ার সার্ভিসে ফোন করলে সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে আগুন নিভিয়ে ফেলেন বলেও জানান। স্থানীয় একাধীক ব্যক্তি নাম পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক জানান,বাশগ্রামের চেয়ারম্যান মো:রফিকুল ইসলাম একজন ভালো মনের মানুষ এবং একজন ভদ্রলোক,তার নামে এমন মিথ্যা,বানোয়াট অভিযোগ করা দুঃখজনক। ওই বাড়ির তিনজনের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জন্য এমন ঘটনা ঘটেছে। রফিকুল ইসলাম পেট্রোল ঢেলে তাদের ঘরে আগুন দিলে তার নিজের ঘরও তো পুড়ে যেত,
কোনো নিজের ক্ষতি নিজে করবে,আগুনে কিছু পাটকাটি ও প্লাস্টিকের বালতি পুড়েছে দেখেছি কিন্তু মুরগী পোড়া দেখিনি বলেও জানান। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম,সাংবাদিক মোঃ রফিকুল ইসলামকে জানান,গত (১৬ জুলাই) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের সময় আমি আমার নিচতলা বিল্ডিংএ ঘুমিয়ে ছিলাম,এসময় মহিলা হোস্টেলের এক ছাত্রী ও মহিলা হোস্টেলের গার্ড আক্তার এসে আমাকে জানায়,মামা আপনাদের বিল্ডিংএ আগুন লেগেছে। আমি তাড়াহুড়া করে গিয়ে দেখি আমার বিল্ডিংএ না পাসের বিল্ডিংএ আগুন ধরেছে,তাৎখনিক আমার ছেলে অনিক ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করলে সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের কর্মি’রা এসে আগুন নিয়ন্ত্রন করতে আমার দোতলা বিল্ডিংএ উঠে আমাদের বাশের মই দিয়ে ওই বিল্ডিংএ উঠে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এসময় আগুন নিভিয়ে নামার সময় আমার ঘরের সিড়িতে পা-পিসলে একজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মি সিড়ি দিয়ে গড়াতে গড়াতে নিচে পড়ে আহত হয়। চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আরো জানান,আমার ছেলে ফায়ার সার্ভিসে ফোন করে খবর দিলো এবং আমিসহ আমার ছেলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিদের সাথে আগুন নেভাতে কাজ করেছি। এতদিন পরে,আমার নামে মামলা করলো কিসের জন্য বুঝতে পারলাম না। এ মিথ্যা,বানোয়াট,ভিত্তিহীন মনগড়া মামলা করে সমাজের কাছে আমাকে হেউপ্রতিপূর্ণ করার জন্য এবং আমার সন্মানহানী করার জন্য এসব করছে বলেও জানান। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুর রহমান জানান,প্রতিবেশীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার একটি মামলা দায়ের হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *