অভয়নগরে স্কুলের শিক্ষক সাদা কাগজে সই নিয়ে বলেন, তোমার মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে!

Uncategorized আইন ও আদালত

সুমন হোসেন, (যশোর) ঃ
যশোরের অভয়নগরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ভোর রাতে অভয়নগর উপজেলার বুইকারা গ্রামের জগবাবুর মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত হাফিজুর রহমান বুইকারা গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে। অপর সহযোগী রুহুল আমিন আল হেলাল নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা বলেন, আমার স্বামী ট্রাকের সহকারী করে। আমি বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলে অস্থায়ী শ্রমিকের কাজ করি। ধর্ষক হাফিজুর আমাদের পাড়া-প্রতিবেশী। তার স্ত্রী ও ৯ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। প্রায় সময় সে আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করত। গত ১৩ জুলাই হাফিজুরের খালা রোকেয়া বেগম আমাদের বাড়িতে আসে এবং হাফিজুরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেন।

তিনি আরও বলেন, ওই দিন দুপুরে রোকেয়া বেগম আমাকেসহ আমার মেয়েকে হাফিজুরের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় আমার মেয়ের স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন। তিনি কৌশলে একটি সাদা কাগজে আমার ও আমার মেয়ের স্বাক্ষর নিয়ে বলে, হাফিজুরের সঙ্গে তোমার মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এখন থেকে তোমার মেয়ে হাফিজুরের স্ত্রী।

পরে আমি ও আমার মেয়ে প্রতিবাদ করলে হাফিজুর ও এলাকার কয়েকজন সন্ত্রাসী ভয়ভীতি এমনকি হত্যার হুমকি দিয়ে আমাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। গত ১৭ জুলাই রাতে ওরা আমার মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। আমি হাফিজুরসহ জড়িত সবার শাস্তি দাবি করছি।
ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী জানায়, ১৩ থেকে ১৬ জুলাই হাফিজুর আমাকে ধর্ষণ করেছে। আমি বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছি। আমি এর বিচার চাই।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শামীম হাসান বলেন, সোমবার রাতে মামলা করার পর মঙ্গলবার ভোরে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান ও রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *