ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মেহেরপুর বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতি’র বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান

Uncategorized আইন ও আদালত

 !! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে বুধবার ৫ টি অভিযোগের বিষয়ে (২টি অভিযান, ৩টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ) পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ টি দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করা সহ ৩ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!


নিজস্ব প্রতিবেদক  ঃ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস, ডা. কবির আহমেদ ও ব্রাদার আঃ মজিদ এর বিরুদ্ধে হাসপাতালে আগত রোগীদের সঠিক চিকিৎসা প্রদান না করে সিন্ডিকেট তৈরি করে তাদের ব্যক্তিগত ক্লিনিকে প্রেরণ ও সরকারি ঔষধ বাহিরে ফার্মেসীতে বিক্রয় করার অভিযোগ ও ব্রাদার আঃ মজিদ কর্তৃক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সংক্রান্তে দুদক, সজেকা, ময়মনসিংহ এর সহকারী পরিচালক মোঃ বুলু মিয়ার নেতৃত্ব বুধবার ৩ আগস্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। দুদক টিম সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ পরিদর্শন করে। অভিযানকালে প্রাপ্ত সেবার মান সম্পর্কে আগত সেবা গ্রহিতাদের প্রদত্ত বক্তব্য রেকর্ড করে টিম। গত সোমবার ১ আগস্ট ফিজোরা খাতুন নামীয় রোগীর মৃত্যু সংক্রান্তে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ আগত রোগিদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাসপাতালের অপর পাশে অবস্থিত সততা ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান সংক্রান্তে উক্ত ক্লিনিক পরিদর্শন এবং উক্ত ক্লিনিকের একজন ব্যবস্থাপক-কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ল্যাব টেকনিশিয়ান জান্নাতুল মাওয়াকে রোগিদের সাথে খারাপ আচরণ করার দায়ে সতর্ক করা হয়। ইনডোর বিভাগে পথ্যসেবার মান নিম্নমানের বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। ডাক্তারদের নিয়মিত ডিউিট পালন ও রোগীদের সাথে ভালো আচরণের নিদর্শনা প্রদান এবং ব্রাদার আঃ মজিদের ৪ তলা বাড়ি নির্মাণ ও গাড়ি ক্রয় সংক্রান্তে তথ্য সংগ্রহ করেছে দুদক টিম। এছাড়াও অভিযোগ সংক্রান্তে রেকর্ডপত্র সংগ্রহপূর্বক তা যাচাই-বাছাই করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

বিআরটিএ অফিস, সদর উপজেলা, মেহেরপুর-এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গাড়ি রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ও নাম্বার প্লেট প্রদানে ঘুষ দাবি ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, সজেকা, কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল এর নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক চৌধূরী বিশ্বনাথন আনন্দ ও রকিবুল ইসলাম এবং উপ-সহকারী পরিচালক সৈয়দ মাইদুল ইসলাম ও সুরাইয়া সুলতানা এর সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম বিআরটিএ অফিস, মেহেরপুরে একটি অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযান পরিচালনা কালে দেখা যায়, বহিরাগত ব্যক্তিকে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র উল্টাতে এবং অফিসের কম্পিউটার ব্যবহার করতে দেখা যায়। অফিসে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কোন শৃঙ্খলা মানা হচ্ছে না। উপস্থিত সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উক্ত অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণ, ড্রাইভিং লাইসেন্স এর স্মার্ট কার্ড প্রদান ও গাড়ির রেজিঃ স্মার্ট কার্ড প্রদানে প্রতিনিয়ত হয়রানির স্বীকার হতে হয়। অভিযানে প্রাপ্ত তথ্যাদি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৩টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *