মো:রফিকুল,ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলের বিছালি ইউনিয়নের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে কলেজে ফিরিয়ে আনলেন,নড়াইল ০১ আসনের সংসদ সদস্য বিএম কবিরুল হক মুক্তি এমপি। আজ ( ৩ আগস্ট) বুধবার সকালে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস কলেজে এলে সকল শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও জিবি এবং নড়াইল জেলা আওয়ামী-লীগসহ,ইউনিয়ন আওয়ামী-লীগের পক্ষ থেকে তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,নড়াইল-১ আসনের এমপি বিএম কবিরুল হক মুক্তি,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুস সালাম হাওলাদার, রেজিস্টার মোল্যা মাহফুজ,পরিচালক আইন সিদ্দিকুর রহমান,পরিচালক কলেজ মনিটরিং এন্ড ইভুলেশন রফিকুল আকবর,জেলা আওয়ামী-লীগের সভাপতি অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস,কলেজের সভাপতি অ্যাডঃ অচীন কুমার চক্রবর্তী,সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান,বিছালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ার ম্যান,বর্তমান চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুক,জিবি সদস্য,জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি দল, কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী,এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ প্রমূখ। উল্লেখ্য,মির্জাপুর কলেজের এক ছাত্র ফেসবুকে ভারতের বিজেপির বহিস্কৃত নেত্রী নূপুর শর্মা মহানবী (সাঃ) কে কটুক্তিকরে এবং মির্জাপুর কলে এক ছাত্র
নূপুর শর্মাকে প্রনাম জানিয়ে সোশাল মিডিয়া ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে গত (১৮ জুন) এক সহিংস ঘটনার পর কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসসহ কলেজ ছাত্র রাহুল ও তার বাবাকে সবার সামনে জুতার মালা পরিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেয়া হয়। এর পরে কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ঐ ছাত্রের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয় এবং অধ্যক্ষকে জুতার মালা পরানোর ঘটনায় মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুরসালিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১৭০-১৮০ জনের নামে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জন গ্রেফতার হয়েছে,এরা সবাই এখন কারাগারে। এর মধ্যে মির্জাপুর কলেজের ছাত্রই রয়েছেন চারজন। এসব ছাত্র’রা হলো মির্জাপুর গ্রামের মেজবাউর রহমানের ছেলে সাব্বির রহমান,আফজাল শেখের ছেলে রিপন শেখ রিপু,রহমান শেখের ছেলে রায়হান শেখ ও চুনখোলা গ্রামের আফসারুল কাজীর ছেলে জহিরুল কাজী। এদিকে অভিযুক্ত ফেসবুকে পোস্টকারী কলেজ ছাত্র রাহুল এখন কারাগারে রয়েছে। এরপর দীর্ঘ ৩৬ দিন কলেজ বন্ধ থাকার পর গত ২৪ জুলাই কলেজ খুললেও অধ্যক্ষ কলেজে যাননি। এমনকি অধ্যক্ষ পার্শ্ববর্তী গ্রাম বড়কুলার নিজ বাড়িতেও ফেরেননি। তিনি নড়াইল শহর অথবা শহরতলিতে কোনো আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে ছিলেন। দীর্ঘ ৪৬ দিন পরে,আজ বুধবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস কলেজে ফিরলে এবং মির্জাপুর বাসিসহ কলেজের শিক্ষার্থীগণ শান্তি ফিরে পেয়েছে বলে দেখা যায়।