নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ দেশে পিছিয়ে পড়া নারী ও শিশুদের উন্নয়নে অংশগ্রহন করা একটি মহৎ কার্যক্রম। কিন্তু কিছু প্রতারকরা এ মহৎ কার্যক্রমকে সামনে রেখে প্রতারণার জাল বিছিয়ে বসেছে।
তাদের মূল লক্ষ্য নারী ও শিশুরা নয় বরং উক্ত প্রতিষ্ঠানে কাজের বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং ভাল পারিশ্রমিকের লোভ দেখিয়ে নিরীহ মানুষদের ফাঁদে ফেলা।
.
প্রথমে কাজের বিজ্ঞাপন দিয়ে আগ্রহী প্রার্থীদের থেকে ইমেইলে সিভি নেয়া হতো। এর পরে তাদের সাক্ষাতকার নেয়া হতো অনলাইনেই। কিছুদিন পরেই তাদের জানানো হতো যে তাদের চাকুরি হয়ে গেছে তবে জামানত বাবদ কিছু টাকা জমা রাখতে হবে।
টাকা নেবার জন্য ব্যবহার করা হতো বিভিন্ন মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস। ভিকটিমরা প্রথমে টাকা দিয়ে দিলে পরে একইভাবে ট্রেনিং, ল্যাপটপ, সাইকেল ইত্যাদি দেবার কথা বলে ধাপে ধাপে নেয়া হতো আরও টাকা। যখন ভিকটিমরা বুঝতে পারতো যে তারা প্রতারিত হয়েছে তখন তাদের সকল মাধ্যম থেকে ব্লক করে দেয়া হতো।
.
সাইবার পুলিশ সেন্টারের কাছে এমন একটি অভিযোগ আসলে সাইবার পুলিশ সেন্টারের একটি টিম অনুসন্ধানে এর সত্যতা পেয়ে প্রতারক চক্রটি সনাক্ত করে গতকাল মঙ্গলবার ৯ আগস্ট অভিযান চালিয়ে চক্রের মূল হোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
.
গ্রেফতারকালে তাদের নিকট থেকে ১৪টি মোবাইল ফোন, ৬০ টি বিভিন্ন নামে রেজিস্ট্রেশন কৃত সিমকার্ড, ৪০টি জাতীয় পরিচয় পত্র, ১৪৮ টি বায়োডাটা (ভিকটিম) এবং ৩০ এর বেশি ভূইফোড় কম্পানি/এনজিওর নামে নিয়োগপত্র ও রাবার স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।