নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ দীর্ঘদিন যাবৎ ভিকটিম কলেজ ছাত্রী (১৭) এবং বিবাদী নাজমুল হুদা সাহেদ (১৯) এর মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক চলে আসছিল। ভিকটিম গাজীপুরের পূবাইলের একটি কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী।
গত ২৯ মে, বিকাল অনুমানিক ৫ টার সময় ভিকটিমের ভাড়া বাসায় ভিকটিমের শয়ন কক্ষে ভিকটিমের পিতা-মাতার অনুপস্থিতে বিবাদী নাজমুল হুদা সাহেদ ভিকটিমকে ফুসলিয়ে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করতে চাইলে ভিকটিম রাজি না হওয়ায় বিবাদী ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।
বিবাদী নাজমুল ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভিকটিমকে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে। এ সংক্রান্তে ভিকটিম এর পিতা জিএমপি, পূবাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করে, যার নম্বর-০৪ তারিখ ০৭ আগস্ট ২০২২, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১)।
উক্ত ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্বের সাথে প্রচার করে। বর্ণিত বিষয়ে ভিকটিম অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব-১ এর নিকট সাহায্য কামনা করে।
এ প্রেক্ষিতে র্যাব-১ তাৎক্ষনিকভাবে ধর্ষণকারীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে দ্রুততার সাথে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার ১২ আগস্ট, আনুমানকি ১১ টা ৪৫ মিনিটের সময় র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকা এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএমপি, উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৬ নং সেক্টরস্থ আজমপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণকারী নাজমুল হুদা সাহেদ (১৯), পিতা- আলামিন মোল্লা, থানা- পূবাইল, জিএমপি, গাজীপুর’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার কৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে কু প্রস্তাব দেয় কিন্তু তাতে ভিকটিম রাজি না হওয়ায় ধৃত আসামী নাজমুল হুদা সাহেদ তার উপর ক্ষীপ্ত হয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করে। গ্রেফতার এড়ানোর উদ্দেশ্যে সে উল্লেখিত স্থানে আত্মগোপন করেছিল বলে জানায়।