নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কক্সবাজার টেকনাফের সেন্টমার্টিন বঙ্গোপসাগরের অদূরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর টেকনাফ বিশেষ জোন ও টেকনাফ কোস্টগার্ড সদস্যরা সাগরে যৌথ অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার পিস ইয়াবা সহ ৬ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটক করেছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার ভোরে সেন্টমার্টিন ছেঁড়াদ্বীপ হতে তিন নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পূর্বে বাংলাদেশের সীমানায় এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় ইয়াবা পাচারে ব্যবহৃত একটি ফিশিং বোটও জব্দ করা হয়েছে।
আটককৃতদের নাম ও ঠিকানা যথাক্রমে, মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার ঘাটিয়াখালি থানার মাস্টর দিল মোহাম্মদ প্রকাশ দিল্লা মাঝি এলাকার মৃত নুর আহম্মদের ছেলে কেফায়েত উল্ল্যাহ (২২), মৃত আব্দুল গাফ্ফারের ছেলে মো. শরিফ (২৭), জালাল উদ্দিনের ছেলে মো. হোছন (৩৮), মৃত হারেদের ছেলে ছৈয়দুর রহমান (৪৩), মৃত রশিদ আহম্মদের ছেলে মো. হোছন (২৭) ও নুর কবিরের ছেলে নুর হোসেন (২১)।
গত মঙ্গলবার দুপুরে টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশন কার্যালয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা জানান। মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে- এমন এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ডের লে. কমান্ডার আশিক আহমেদ (ট্যাজ) বিএন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল মোস্তফার নেতৃত্বে সেন্টমার্টিন সাগর এলাকায় যৌথভাবে অবস্থান করেন।
সিরাজুল মোস্তফা জানান, ওই রাতে সেন্টমার্টিন ছেঁড়াদ্বীপ হতে ৩ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ পূর্বে মিয়ানমার সীমান্ত হতে একটি ফিশিং বোট বাংলাদেশের জলসীমায় আসতে দেখে বোটটিকে টর্চ লাইট ও বাঁশির মাধ্যমে থামার সংকেত দেয়া হয়।
বোটটি না থেমে গতিবিধি পরিবর্তন করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টাকালে যৌথ আভিধানিক দলের সদস্যরা ধাওয়া করে উক্ত বোটের কাছে গেলে বোট থেকে মাদক কারবারিরা যৌথ টিমের সদস্যদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণের চেষ্টা করলে আত্মরক্ষায় কোস্টগার্ড সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে।
সিরাজুল মোস্তফা গণমাধ্যমে জানান ,পরবর্তীতে যৌথ অভিযানিক দল উক্ত বোটে তল্লাশি চালিয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার পিস ইয়াবা ও একটি সিমকার্ডবিহীন স্মার্টফোন (ভাঙা) জব্দ করে এবং ইঞ্জিনচালিত কাঠের বোট সহ ৬ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও জানান, জব্দকৃত ইয়াবা, কাঠের বোট সহ আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ অনুযায়ী মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।