নড়াইলে দর্শনীয় বাঁধাঘাটে শিবলিঙ্গ স্থাপঁন,বাঁধাঘাটের প্রবেশদ্বার বন্ধ,জনমনে নিন্দার ঝঁড়,বিতর্কের সৃষ্টি

Uncategorized অন্যান্য

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
ধর্ম যার যার উৎসব ও আনন্দ সবার,এমনটাই জন্মের পর থেকে নড়াইলে দেখে আসছি এবং স্বারদীয় দূর্গাপুজা বিস্বর্জন দিয়ে এসছেন বাঁধাঘাটে আনন্দের সাথে। আজ সেই ঐতিহ্যবাহী বাঁধাঘাটের সামনে শিবলিঙ্গ স্থাপন করে বাঁধাঘাটের প্রবেশদ্বার বন্ধ করা হয়েছে বলে নানা অভিযোগ। এদিকে,বাঁধাঘাট এবং মন্দিরের সামনে সুন্দর্যের জন্য পানির ফোয়ারা স্থাপন করার কথা থাকলেও স্থাপন করা হয়েছে শিবলিঙ্গ। মন্দির এর নকশার ডিজাইনে শিবলিঙ্গ না থাকলেও ঐতিহ্যবাহী বাঁধাঘাটের সামনে স্থাপন করা হয়েছে শিবলিঙ্গ মন্দির বলে সোশাল মিডিয়ায় নানা মন্তব্য ও বিতর্কের সৃষ্টি। ঐতিহ্যবাহী বাঁধাঘাট ও মন্দিরের সামনের সম্পত্তি, সরকারি না,মন্দিরের সম্পত্তি,এটা নিয়ে চলছে জনমনে এবং সোশাল মিডিয়ায় নানা গুনজন। আমেরিকা প্রবাসী নিয়াজ মাহমুদ ভিকু নামের এক জন তার নিজ ফেসবুক আইডিতে সর্ব প্রথম ঐতিহ্যবাহী বাঁধাঘাট ও শিবলিঙ্গ নিয়ে লেখালেখি করেন এবং তিনি দাবি করেন,ঐতিহ্যবাহী বাঁধাঘাট এর সামনে কেন শিবলিঙ্গ স্থাপন করা হলো,মন্দিরের পাসেও শিবলিঙ্গ স্থাপন করা যেত,কেন ঐতিহ্যবাহী বাঁধাঘাট এর সামনে শিবলিঙ্গ স্থাপন করে বাঁধাঘাটে প্রবেশদ্বার বন্ধ করা হলো,ঐতিহ্যবাহী বাঁধাঘাট সবার জন্য উন্মুক্ত। ঐতিহ্যবাহী বাঁধাঘাট সরকারি সম্পত্তি এখানে সবাই একটু সময় কাটাতে আসেন এবং মনমূগ্ধকর পরিবেশে সময় কাটাতে পারে। নিয়াজ মাহমুদ ভিকু বোঝাতে চেয়েছেন,যদি বাঁধাঘাট সরকারি সম্পত্তি হয় তাহলে বাঁধাঘাটের মেন ফটকে কেন শিবলিঙ্গ স্থাপন করা হলো,মন্দিরের পাসেও তো শিবলিঙ্গ স্থাপন করা যেতে পারতো। যদি মন্দিরের জায়গায় শিবলিঙ্গ স্থাপন করা হয়ে থাকে তাহলে কেন মন্দির কমিটি জমিটি মেপে বিষয়টা পরিষ্কার করছেন না। নাম পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক স্থানীয় কলেজ মোড়ের একাধীক বেক্তি জানান,শিবলিঙ্গ স্থাপন ও বাঁধাঘাট নিয়ে যেভাবে সোশাল মিডিয়া ফেসবুকে লেখালেখি হচ্ছে তাতে আমাদের নড়াইল এর সন্মান নষ্ট হচ্ছে এটা আমাদের বুঝতে হবে। যেহেতু বিষটি নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে তাহলে মন্দির কমিটির সদস্য’রা মন্দিরের জায়গাটি মেপে সিমানা নির্ধারন করে দিক। কোন ভাবেই ঐতিহ্যবাহী বাঁধাঘাট এর সামনে শিবলিঙ্গ স্থাপন করা উচিৎ হয়নি এবং শিবলিঙ্গ স্থাপন করার পাশাপাশি বাঁধাঘাটের সামনে যায়গা শিবলিঙ্গ স্থাপনের জন্য ঘিরে দেয়া হয়েছে যার কারনে বাঁধাঘাটে প্রবেশদ্বার বন্ধ,আগের মত নেই কোন খোলা মেলা পরিবেশ বাঁধাঘাটের।
মন্দিরের পাসে শিবলিঙ্গ স্থাপন করা হলে বাঁধাঘাট,মন্দির,শিবলিঙ্গ সব কিছুরই সুন্দর্য বিদ্ধি পেত এবং সুন্দর্য অনুভব করা যেত বলেও জানান। নড়াইল বাসিসহ সুশিল সমাজের দাবী মন্দির ও বাঁধাঘাট এর সীমানা পরিমাপ করে সিমানা নির্ধারণ করে এ সব বিতর্কের অবসান করা হোক। এখানে কোন পক্ষের দরকার নেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে যায়গাটা পরিমাপ করে নড়াইলের শান্তিপ্রিয় জনগণকে সুনন্দর সমাধান দিন। কিছুদিন পূর্বে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার জন্য আমরা কলংকৃত,তাই অতি দ্রুত সিমানা পরিমাপ করে সকল বিতর্ক অবসান করা হোক। এদিকে,বাঁধাঘাট ও শিবলিঙ্গ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে,আমেরিকা প্রবাসী নিয়াজ মাহামুদ ভিকু সোশাল মিডিয়া তার নিজ ফেসবুক আইডিতে বাঁধাঘাট ও শিবলিঙ্গ নিয়ে লেখালেখি করলেই শুরু হয় নিন্দার ঝড় এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং শুরু হয় পক্ষপাতিত্ব মনে হয় চলছে যুদ্ধ,এসবের একটাই সমাধান মন্দিরের জায়গা মেপে সিমানা নির্ধারন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *