নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৪ হাজার ২৪০ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
এসময় দুই রোহিঙ্গাসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও বাকলিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যম কে নিশ্চিত করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুর টোল প্লাজায় এলাকায় মারছা ট্রান্সপোর্টের যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি করে মো. কামাল হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসময় তার কাছ থেকে ১৮০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে বাকলিয়া এলাকায় শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসের যাত্রীবাহী বাসের ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে মো. শফি আলম নামের এক রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসময় তার কাছ থেকে ৯১০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেন, গ্রেপ্তার শফি আলম উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে শাহ আমানত সেতুর সংযোগ সড়কের ওজন স্কেলের সামনে মারছা পরিবহনের একটি বাসে অভিযান চালিয়ে মো. কাউছার ইউনুস নামে এক রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসময় তার কাছ থেকে ১৪০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার কাউছার ইউনুসও উখিয়া উপজেলার বালুখালী এলাকার বাসিন্দা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল গণমাধ্যমে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাসে করে ইয়াবা পাচার করার চেষ্টা করছে ইয়াবা কারবারিরা।
তারা রাতে কক্সবাজার থেকে বাসে উঠে। যাতে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ভোরে চট্টগ্রাম পৌঁছাতে পারে। তাই রাতে আমাদের অভিযান জোরদার করেছি।