নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশ অনেক কিছু পেয়েছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বুধবার আর্মি গল্ফ ক্লাবের পাম ভিউ রেস্টুরেন্টে ‘গত এক দশকে বাংলাদেশের কূটনীতিতে সাফল্য’ বিষয়ক সেমিনার শেষে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, এবারের ভারত সফর সবচেয়ে সফল হয়েছে। এই সফর থেকে আমরা অনেক কিছু পেয়েছি। বিশেষ করে, আমাদের ছেলেমেয়েরা সেখানে প্রশিক্ষণের জন্য যাবে, বিদেশ থেকে গ্যাস এখানে এনে তাদের দেশে বিক্রি করা হবে। এতে বিক্রির একটা জায়গা হলো, দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরালো হলো।
তিনি বলেন, বর্তমানে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ডিপ্লোমেসি খুব ঘনিষ্ঠ পর্যায়ে আছে। এ রকম ভালো সম্পর্ক আগে কখনও হয়নি। …অনেকেই তাদের স্বকীয়তা রাখতে চায়। আমরাও চাই ভারত তাদের স্বকীয়তা ধরে রাখুক। সবার সঙ্গে সম্পর্ক রাখাই উদ্দেশ্য, যাতে আমাদের কাজ হাসিল করতে সহজ হয়। কখনো নিরব থাকলে ধরা ঠিক হবে না তারা কিছু করছে না, নিরব থাকলেও ভারত আমাদের হেল্প করছে। সুতরাং এ জন্য আমরা খুব উদ্বিগ্ন নই।
বাংলাদেশ কোনো কিছু না পেয়েই ভারতকে ফেনী নদীর পানি দিয়েছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী আজ হয়তো বলবেন। এখানে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, আর মিডিয়া তা প্রমোট করছে। ধরুন ১.৮২ কিউসিক অল্প খাওয়ার পানি ভারতে একটি শহরে দেবে। ইতিমধ্যে তারা এ পানি নিচ্ছে। এখন ভারত একটা ফ্রেমওয়ার্ক আইনের মধ্যে এসেছে। তার ফলে বাংলাদেশের উপকার হয়েছে। ভারত যে বেআইনিভাবে পানি তুলতো তা আমরা বন্ধ করার ক্ষমতা রাখি। সুতরাং এটা আমাদের জন্য উইন উইন অবস্থা। দ্বিতীয়ত বাংলাদেশ ভারতকে পানি দিতে পারার আনন্দের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ওপর নির্ভরশীল হলো সেটাও দেখা দরকার।
অন্য প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিস্তাসহ সব বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। প্রধানমন্ত্রী সব বিষয় আলোচনায় উত্থাপন করেছেন। পানির ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পানি নিয়ে আগামীতে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে। এ নিয়ে সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। একটি নীতিমালা তৈরি হয়েছে- কিভাবে এ ইস্যুটি নিয়ে কাজ হবে। রোহিঙ্গা ইস্যু আলোচনায় স্থান পেয়েছে।