বিদেশ ফেরত কর্মী, সিএনজি চালক এবং কক্সবাজারের মাদক সিন্ডিকেটের ৫ সদস্য গ্রেফতার, পৌনে এক কোটি টাকা মূল্যের ২৪,২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার

Uncategorized আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ​মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে।

মাদকদ্রব্য উদ্ধর ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার সহ নেশার মরণ ছোবল থেকে তরুন সমাজকে রক্ষার জন্য ঢাকা মহানগরীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক, মোঃ মেহেদী হাসান এর তত্ত্বাবধানে এবং মোহাম্মদপুর এবং রমনা সার্কেলের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম ঢাকার মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় রবিবার ৯ অক্টোবর বিকাল থেকে সোমবার ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে মোহাম্মদ শফিক(২০), থানা: টেকনাফ, জেলা: কক্সবাজার; পেশা: কাপড় ব্যবসা। নূর আলম (৩৮), থানা: ধুনট, জেলা: বগুড়া; পেশা: ব্যবসা। শফিক (৩৬), থানা ও জেলা: কক্সবাজার; পেশা: গাড়ী চালক। আশরাফিল ইসলাম নয়ন (৩২), থানা: শ্রীনগর, জেলা: মুন্সিগঞ্জ;, পেশা: বিদেশ ফেরত কর্মী বর্তমানে একটি ফুড কোর্টে
কর্মরত ছিল। মোঃ আরিফ (৩৫), থানা ও জেলা: লক্ষীপুর; পেশা : সিএনজি চালক

উল্লেখিত ৫(পাঁচ) জন ব্যক্তি’কে ২৪,২০০(চব্বিশ হাজার দুইশত) পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার করা হয় যার আনুমানি মূল্য পৌনে এক কোটি টাকা।

ব্যবসার কৌশল ঃ উপরোক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা মোহাম্মদপুর, রামপুরা ও কক্সবাজার কেন্দ্রীক একটি মাদক চক্রের সক্রিয় সদস্য।

আসামীদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ১ ও ৩ নং আসামী টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান সংগ্রহ করে তাদের ঢাকার ডিলার আসামী ২,৪ ও ৫ নং আসামীর কাছে সরবরাহ করত। ঢাকা মোহাম্মদপুর ও রামপুরা এলাকা তাদের একাধিক ক্রেতা রয়েছে মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে। সে বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
৪ নং আসামী আশরাফিল ইসলাম নয়ন (৩২) সিএনজি চালক মো: আরিফকে সিএনজির মাধ্যমে মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহার করতো এবং ৩ নং আসামী শফিক (৩৬) এর সহযোগিতায় রামপুরা ও মতিঝিল এলাকায় মাদক সরবরাহ করত।
১ ও ২ নং আসামী মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীক মাদক চক্রের সক্রিয় সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা জেনেভা ক্যাম্প সহ ঢাকার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের পাইকারী দরে মাদক সরবরাহ করতো।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) কর্তৃক ভবিষ্যতে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া ।
মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বদ্ধপরিকর।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *