নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিষ্ফোরণে আহত মীরাক্কেল খ্যাত জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি এবং কনস্টেবল জিল্লুর রহমান সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম দুপুরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এ সময় ডাক্তার সামন্ত লাল সেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার এ. কে. এম. হাফিজ আক্তার বিপিএম (বার), ডিআইজি (অপারেশনস) মোঃ হায়দার আলী খান, ডিআইজি (হেডকোয়ার্টার্স) এস এম মোস্তাক আহমেদ খান বিপিএম পিপিএম (বার), গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম (বার), মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকগণ, নার্সসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন তার বক্তৃতায় গ্যাস বেলুন ব্যবহারে সতর্ক থাকার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। রনি এবং জিল্লুরের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করায় তিনি বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানান ।
আইজিপি বলেন, আমরা রনি এবং জিল্লুরকে বিদেশে পাঠাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের ডাক্তারদের চিকিৎসায় সন্তষ্ট ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে বার্ন ইন্সটিটিউট চিকিৎসা সেবায় আধুনিকতা এবং নতুনত্ব এনে দেশের মানুষের মধ্যে আস্থার জায়গা করে নিয়েছে। আমি ডাক্তার সামন্ত লাল সেন এবং তার টিমকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তারা তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে আন্তরিকতার সাথে আবু হেনা রনি এবং আমাদের পুলিশ সদস্য জিল্লুর রহমানকে চিকিৎসা দিয়েছেন, সুস্থ করে তুলেছেন। আইজিপি হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নার্সসহ সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আইজিপি বলেন, কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি তার অভিনয় শৈলী ও অনবদ্য পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে আবারও দর্শক-শ্রোতাদের মাতিয়ে তুলবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ছিল গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর ওই অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে অনাকাঙ্খিতভাবে গ্যাস বেলুন বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দুঃখজনক এ দুর্ঘটনায় কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি সহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আবু হেনা রনি এবং কনস্টেবল জিল্লুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়।