আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার সিন্ডিকেটের সদস্য সুকুমার সাহার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দূদক

Uncategorized আইন ও আদালত



!! অন্যদিকে প্রাথমিক অনুসন্ধান ও রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি জানতে পারে, সুকুমার সাহা ২০১৭-২০১৮ করবর্ষে আয়কর নথি খোলেন। তখন থেকে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত তার মোট আয় ছিল ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৩৬ টাকা। আর পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় ছিল ১৩ লাখ ৩ হাজার ১৩৬ টাকা। সে হিসাবে তার গ্রহণযোগ্য ও বৈধ সঞ্চয় থাকার কথা ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩০০ টাকা। অথচ তার সঞ্চয়ের হিসাবে ২৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। অনুসন্ধানে ২২ লাখ ৯৩ হাজার ৭০০ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।অবৈধ সম্পদ অর্জন ও নির্ধারিত সময়ে সম্পদ বিবরণী ফরম দাখিল না করায় দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭ (১) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে !!


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার সিন্ডিকেটের সদস্য এবং উইন্টেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক সুকুমার সাহার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং নির্ধারিত সময় পার হলেও সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। তার বিরুদ্ধে প্রায় ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল সুকুমার সাহাকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়। কিন্তু নোটিশ জারি করা হলেও নির্ধারিত সময়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি তিনি।

অন্যদিকে প্রাথমিক অনুসন্ধান ও রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি জানতে পারে, সুকুমার সাহা ২০১৭-২০১৮ করবর্ষে আয়কর নথি খোলেন। তখন থেকে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত তার মোট আয় ছিল ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৩৬ টাকা। আর পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় ছিল ১৩ লাখ ৩ হাজার ১৩৬ টাকা। সে হিসাবে তার গ্রহণযোগ্য ও বৈধ সঞ্চয় থাকার কথা ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩০০ টাকা। অথচ তার সঞ্চয়ের হিসাবে ২৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। অনুসন্ধানে ২২ লাখ ৯৩ হাজার ৭০০ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।অবৈধ সম্পদ অর্জন ও নির্ধারিত সময়ে সম্পদ বিবরণী ফরম দাখিল না করায় দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭ (১) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।


চলতি বছরের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আলোচিত পি কে হালদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত মোট ৪৩টি মামলা দায়ের করেছে দুদক। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের অর্থ আত্মসাতে ২২টি মামলা ও এফএএস লিজিংয়ের অর্থ আত্মসাতে ১৩ মামলা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সম্পদের মামলা রয়েছে।
অন্যদিকে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার চার্জশিট ২০২১ সালের নভেম্বরে দাখিল করে দুদক। যেখানে ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগে পি কে হালদারসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *