অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা

Uncategorized জাতীয়

পিংকি জাহানারা (খুলনা) ঃ তেরখাদা উপজেলায় অর্থের বিনিময়ে অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রচেষ্টার প্রতিবাদে আজ দুপুর ১২ টায় খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মোঃ আব্দুল জলিল শেখ।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মোঃ আব্দুল জলিল শেখ জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ কালীন ৯ নম্বর সেক্টরের তেরখাদা, রূপসা, কালিয়া নড়াইল ও মোল্লাহাট থানা নিয়ে গঠিত উত্তর খুলনার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭১ সালে তারা যখন যুদ্ধ করেছিলেন তখন তেরখাদা উপজেলায় তার অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ৯১ জন।
এছাড়া এ উপজেলার বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধা অন্যান্য এলাকায় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেও তার সঠিক নাম ঠিকানা তার জানা নেই বলে উল্লেখ করেন।

যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল ওসমানীর স্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হন অনেকে।পরবর্তীতে ধাপে ধাপে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বাড়তে থাকে। এর মধ্যে তেরখাদার বাসিন্দা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার খান মোহাম্মদ আলী ও তেরখাদা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার চৌধুরী আবুল খায়ের রয়েছেন তিনি ( আব্দুল জলিল শেখ) জানান।

তিনি জানান,কমিটির দু’জন সদস্য খান মোহাম্মদ আলী ও চৌধুরী আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কারণে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ দায়ের এবং হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট করেন। পরবর্তীতে হাইকোর্ট ১/০৩/২০১৭ তারিখের আদেশে অনলাইন ও সরাসরি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই স্থগিত করা হয়।

এ দিকে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই নির্দেশিকা ২০১৬ এর আলোকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের কথা বলা হয় এবং মামলা চলমান থাকলেও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম করা যাবে এমন নির্দেশনা প্রদান করে।গত ১৫ মার্চ ২০২২ তারিখে খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে পুনরায় খান মোহাম্মদ আলীকে সভাপতি ও চৌধুরী আবুল খায়েরকে সদস্য মনোনয়ন প্রদান করে কমিটি গঠনের নির্দেশনা প্রদান করা হয় এবং তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উল্লিখিত কমিটি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চালু করেছে।

তেরখাদা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি বাতিল করে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনার জন্য দাবি জানান মোঃ আব্দুল জলিল শেখ।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *