নিজস্ব প্রতিনিধি ; “ব্যস্ততাকে দাও ছুটি, সবাই মিলে আনন্দ লুটি” এ স্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে দুই হাজার আট সালে এসএসসি এবং দুই হাজার দশ সালে এইচএসসি ব্যাচের পুর্নমিলনী হয়ে গেলো পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের তীরে।
সকাল দশটায় শুরু হওয়া এ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আট-দশ ব্যাচের ১২০ জন শিক্ষার্থী মিলিত হয় তাঁদের প্রাণের উৎসবে।
পবিত্র কোরান আর গীতা পাঠের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলো উপস্থিত সবার স্মৃতি রোমান্থন। স্মৃতির ভেলায় চড়ে সবাই যেন ধীরে ধীরে জড়ো হচ্ছিলো চৌদ্দ বছর আগের সেই শ্রেণিকক্ষে। কক্সবাজার সৈকতের মাতাল স্রোতের চেয়ে মাতাল হয়ে যেতে তাদের মন; উদাসীনতা ঘিরে ধরে সবার দৃষ্টির ত্রি-সীমায়; এলোমেলো স্মৃতি যেন তেড়ে ফুঁড়ে আসতে থাকে চৌদ্দ বছরে অতিক্রান্ত ধাপগুলো পার হয়ে; ক্ষণে ক্ষণে নস্টালজিয়া যেন ধুমড়ে মুচড়ে দিচ্ছিলো উপস্থিত সবার চোখে-মুখে।
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি র্যাফল ড্র এর মাধ্যমে ভাগ্য পরীক্ষা, এক রঙ্গের টি-শার্ট পরিধান করে দলবেঁধে সৈকতে ভ্রমণ, স্থিরচিত্রে স্মৃতিকে দৃঢ় করার তাড়না, এলোমেলো অগোছালো নাচের ছন্দে মেতে ছিলো উপস্থিত সবাই। অনুভূতি প্রকাশ করতে যেয়ে সবাই তাই ধন্যবাদ দিচ্ছিলো আয়োজকদের।
পুর্নমিলনীর উদ্দেশ্য চিটাগাং ডিভিশন ফ্রেন্ডস (সিডিএফ) নামে একটা ফেসবুক গ্রুপ খুলে সেখানে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়। গ্রুপটি খুলেন আট দশ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজনীন সুলতানা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সার্বিক সমন্বয়কের ভূমিকায় ছিলো এই আট-দশ দুহিতা। পুর্নমিলনীতে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন, “যেন হারিয়ে গেছি ১৪ বছর আগের সেই সোনালী জীবনে। যে জীবনে খালি চোখে দেখলে রূপকথার গল্পের মতো লাগে।”
ফেসবুক গ্রুপের আরেক মডারেটর সোহাইব ত্বহা বলেন, “স্মৃতির ভেলায় চড়ে যেন হারিয়ে গেলাম এক যুগ আগে; যেখানে জীবনের অর্থ খুঁজতে হতো না।”
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রহমত রুমি, দারুস সালাম, রাশেদা আকতার, জাহিদুল আকবার ও সাইফুল ইসলামসহ আরো অনেক। আর সঞ্চালনায় ছিলেন এডভোকেট আব্দুল্লাহ সগীর।