৪ বছরের ব্যাবধানে কোটিপতি হিরো আলম!

Uncategorized অন্যান্য



বগুড়া প্রতিনিধি ঃ
চার বছরের ব্যবধানে কোটিপতি হয়েছেন বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে মনোনয়ন চাওয়া কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। পারিবারিক সঞ্চয়পত্র দেখিয়েছেন ৫৫ লাখ টাকার। এই চার বছরে ২১ শতাংশ কৃষি জমি থেকে হয়েছে ৫০ শতাংশ। স্বর্ণালঙ্কার বেড়েছে ১০ গুণ।
সদ্য বাতিল হওয়া তার মনোনয়নপত্রের হলফনামায় দেয়া তথ্যে এ বিষয় উঠে এসেছে। অথচ চার বছর আগে ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনের হলফনামায় তার সম্পত্তি এমন ছিল না।
তবে হলফনামায় দেয়া তথ্যে কোটিপতি হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন হিরো আলম।

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া বগুড়ার ৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছায় হিরো আলম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তবে দাখিলকৃত নূন্যতম ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনসূচক তালিকায় গরমিল থাকায় গত ৮ জানুয়ারি তার মনোনয়ন বাতিল করেন করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।

হলফনামায় হিরো আলম বলেছেন, তিনি স্বশিক্ষিত। আর তার পেশা ব্যবসা।
হিরো আলমের নিজ নামে কৃষি জমি থেকে আয় দেখানো হয় ৬ হাজার টাকা। ব্যবসার আয় ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা। আসবাবপত্র এক লাখ ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য এক লাখ টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় এই টাকার পরিমাণ একই ছিল।

এবারের হলফনামায় কৃষি জমি দেখানো হয়েছে দেড় বিঘা (৫০ শতাংশ) এবং বসতবাড়ি নয় শতাংশ। স্ত্রী-পরিবারের নামে ৫৫ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র ও ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উল্লেখ করেন হলফনামায়।যদিও ২০১৮ সালে তার পারিবারিক কোনো সঞ্চয়পত্র ছিল না। আর ২০ হাজার টাকা মূল্যের এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিল।

২০১৮ সালে হিরো আলমের ছিল ৮৭ হাজার টাকা দামের মোটরসাইকেল। এবার তিনি ১৬ লাখ টাকা দামের একটি প্রাইভেট কার ব্যবহার করছেন। সম্প্রতি এটি ক্রয় করেন হিরো আলম।

বগুড়ার দুইটি আসনের উপনির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় জমি বাদ দিয়ে হিরো আলমের নগদ অর্থ ও স্থাবর সম্পত্তির বর্তমান আর্থিক মূল্য প্রায় ৮৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। কৃষি ও ভিটা জমির মূল্য ধরলে এই আর্থিক পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়।

২০১৮ সালের নির্বাচনে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ের কথা জানিয়েছিলেন হিরো আলম। এর মধ্যে নিজের অভিনয় ও ব্যবসা থেকে ৫ লাখ এবং শ্বশুর, ফুফা ও ভগ্নিপতির কাছ থেকে আরও ৫ লাখ টাকা ধার করে নির্বাচনী ব্যয় মেটানোর কথা বলেছিলেন।

কিন্তু এবার নির্বাচনী ব্যয়ের উৎস সম্পর্কে কিছু জানাননি হিরো আলম। হলফনামার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা ভুল করে হয়েছে। আমার এত সম্পত্তি নেই। হলফনামা লেখার জন্য যে উকিলকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল, তিনিই এই ভুল করেছেন। ওই উকিল আমার হলফনামায় অন্য কারো তথ্য দিয়েছেন।’

কিন্তু হলফনামা লেখার দায়িত্ব পাওয়া সেই উকিলের নাম বলতে পারেননি হিরো আলম। এমনকি হলফনামা জমা দেয়ার আগেও এসব খেয়াল করেননি তিনি। হিরো আলমের দাবি, হলফনামায় উল্লেখ করা এত সম্পত্তি নেই তার। তবে কিছুদিন আগে ১৬ লাখ টাকা দামের একটি প্রাইভেট কার কিনেছেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *