মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলে বাংলদেশ ব্যাংকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুয়া নিয়োগপত্র কার্ড ধরিয়ে দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা,প্রতারক চক্রের ৬সদস্য বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযুক্ত পরিবার বলছে ভিন্য কথা,অভিযুক্ত বাবুল শেখ বলেন,
নড়াইল জেলার বিছালী ইউনিয়নের চাকই গ্রামের রফিকুল শেখ এর ছেলে সাফায়েত শেখকে ধর্ম ছেলে বলে আত্মীয় বানায় আমার বোন। সেই সুবাদে আমাদের বাড়িতে আশা যাওয়া ছিলো,এক পর্যায়ে ছেলেটি বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি দিতে পারে বলে আমাদের জানায়। পরে আমরা আমার ভাগনী জামায় মোজাপফার এর ছেলে আসমাউলকে চাকরি দেয়ার জন্য ২ লাখ টাকা নিয়ে এবং অন্যদের থেকে টাকা নিয়ে সেই ধর্ম ছেলেকে দেয়,এখন সে পলাতক রয়েছে আর আমি সেই টাকার জন্য ৩ মাস জেল খেটেছি বলেও জানান। জানা যায়,নড়াইল সদর উপজেলার কড়োলা ইউনিয়নের বাহিরগ্রাম এর মো:মোজাপফার মোল্যা’র ছেলে মো:আসমাউল মোল্যা (২১) কে বাংলাদেশ ব্যাংক এর এসিস্টেন্ড-ফিল্ড অফিসার পদে সরকারি চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আত্মীয়,নড়াইল সদর উপজেলার কড়োলা ইউনিয়নের বাহির গ্রামের জহুর শেখ এর ছেলে মো:বাবুল শেখ (৫০),জহুর শেখ এর মেয়ে রোকেয়া বেগম (৫৫),ওলিয়ার মোল্যা এর ছেলে হুমায়ন মোল্যা (৬৫),জহুর শেখ এর ছেলে সেলিম শেখ (৪৫),সেলিম শেখ এর স্ত্রী নার্গিস বেগম (৪০),সোহরাব শেখ এর স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৬৫) বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ভুক্তোভোগী মো:মোজাপফার মোল্যা জানান,আমার শশুর বাড়ির আত্মীয়’রা আমার বাড়িতে গত দুই বছর আগে বেড়াতে এসে জানায় আমার ছেলে মো:আসমাউল মোল্যাকে সরকারি চাকরি দিবে। এসময় আমি কত টাকা লাগবে শুনলে,বলে সরকারি চাকরি পেতে হলে ১০ লক্ষ টাকা লাগবে,আমি প্রথমে এত টাকা দিয়ে ছেলেকে চাকরি দিতে পারবো না বলে জানিয়ে দেই। পরে আমার ছেলে আসমাউল আমাকে যোঁর করে বলে আব্বা আমি এই চাকরিটা করবো তুমি টাকার ব্যবস্থা করে দাও,আমি ছেলের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে চাকরির জন্য প্রথমে জমি-বিক্রি করে ৫ লক্ষ টাকা দেয়,৫টি গরু বিক্রি করে ৪ লক্ষ টাকা দেয়,কিন্তু নিয়োগপত্র কার্ড আনতে হবে বলে আমাকে চাপ দিয়ে আবারও আমার স্ত্রী ও মেয়ের সর্ণালংকার বিক্রি করে ২ লাখ টাকা মোট-১১ লাখ টাকা দিলে সুন্দর বন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আমাদের ঠিকানায় একটি নিয়োগপত্র কার্ড পাঠায়। পরে আমরা নিয়োগপত্র কার্ডটি বিভিন্ন দপ্তরে দেখালে তারা বলেন,এটা ভুয়া নিয়োগপত্র কার্ড। সাথে সাথে আমি আমার অত্মীয়’র কাছে গিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র কার্ডের বিষয়ে জানালে আমাকে হুমকি ধামকি দেয় এবং আমাকে টাকা ফেরত দিবেনা বলে আমার বাড়িতে অশান্তি বাধিয়ে আমার শাশুড়ী তার মেয়ে আমার স্ত্রীকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। আমি প্রশাসনের কাছে এই প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিচার চাই,আর যেন কোন পরিবার সরকারি চাকরির জন্য প্রতারক চক্রের প্রলোভনে পড়ে সর্বশান্ত না হয় বলেও জানান। এ বিষয়ে কড়োলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী-লীগের প্রচার সম্পাদক মো:আলাউদ্দিন শেখ জানান,ঘটনা সত্য আমি জানি বাহিরগ্রামের মো:মোজাপফার মোল্যা’র ছেলে মো:আসমাউল মোল্যাকে সরকারি চাকরি দেয়ার নাম করে ভুয়া নিয়োগপত্র কার্ড ধরিয়ে দিয়ে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং মুলিয়া ইউনিয়নের কোড়গ্রামের ভুলার ছেলে সুজনের কাছ থেকে ভুয়া চাকরির প্রলভোন দেখিয়ে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক চক্র। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,এই প্রতারক চক্রটি মুলিয়া ইউনিয়নের কোড়গ্রামের ভুলার ছেলে সুজনের ভাইকে সরকারি চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুয়া একটি নিয়োগপত্র কার্ড সুন্দর বন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠায়,পরে কার্ডটি যাচায় বাছায় করে ভুক্তভোগী’রা জানতে পারে এ নিয়োগপত্র কার্ড ভুয়া,জালিয়াতি চক্রের সদস্যদের সাথে সাথে জানালে তারা কোন সুরহা না দিতে পারলে ভুক্তোভোগী সুজন বিজ্ঞ আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত প্রতারক চক্রের সদস্য বাহির গ্রামের জহুর শেখ এর ছেলে মো:বাবুল শেখকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। অভিযুক্ত মো:বাবুল শেখ এর বক্তব্য অনুযায়ী নড়াইল জেলার বিছালী ইউনিয়নের চাকই গ্রামের রফিকুল শেখ এর ছেলে সাফায়েত শেখ বাড়িতে না থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি,সাফায়েত শেখ পলাতক রয়েছে।