নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, রিপাবলিক অফ মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে (MINUSMA) নিয়োজিত কন্টিনজেন্টের মোট ১১০ জন শান্তিরক্ষী প্রতিস্থাপন করতে যাচ্ছে।
বর্তমানে মালিতে অবস্থানরত কন্টিনজেন্টটি নতুন ১টি কন্টিনজেন্ট দ্বারা প্রতিস্থাপনের অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর ৭০ জন সদস্য জাতিসংঘের ভাড়াকৃত একটি বিমানে (ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স) শুক্রবার ১৭ ফেব্রুয়ারি, মালির উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছে। কন্টিনজেন্টের বাকি সদস্যরা আগামী ২ মার্চ, মালি গমন করবেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এই কন্টিনজেন্টের নেতৃত্বে থাকবেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ টি এম ইরফানুর রহমান, পিএসসি।
উল্লেখ্য, মালিতে বিবাদমান সংঘাত নিরসনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সে দেশের সরকার এবং আপামর জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁদের অর্জিত এ সুনাম ও সাফল্য অক্ষুন্ন রেখে শান্তিরক্ষীরা ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে যেন আরো উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারে, এ কামনা করে যাত্রার প্রাক্কালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এক মোনাজাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল এ এইচ এম ফজলুল হক, বিবিপি, বিএসপি, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি বিমান বন্দরে উপস্থিত থেকে তাদেরকে বিদায় জানান।
এর আগে ৪ জানুয়ারি, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, বিবিপি, বিইউপি, এনএসডব্লিউসি, এফএডব্লিউসি, পিএসসি মালিগামী বিমান বাহিনী কন্টিনজেন্ট সদস্যদের উদ্দেশ্যে ব্রিফিং প্রদান করেন এবং মিশনের সাফল্য কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাদেরকে সততা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তথা দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনার আহ্বান জানান এবং তিনি বিদেশের মাটিতে দায়িত্ব পালনকালে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার সাথে শ্রদ্ধা, সহমর্মিতা ও ভালবাসার মাধ্যমে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দায়িত্ব পালন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার পরামর্শ প্রদান করেন।
এছাড়াও তিনি জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন নিয়মনীতি মেনে চলে বিদেশের মাটিতে অভূতপূর্ব নজির স্থাপন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।