রংপুরে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

Uncategorized অন্যান্য


রংপুর প্রতিনিধি ঃ গতকাল শনিবার ২৫ মার্চ, .সকাল ১০ টায় রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গতকাল শনিবার ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস-২০২৩ উপলক্ষে “আলোচনা সভা, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও শিশু একাডেমি রংপুরের শিশু কিশোর কর্তৃক কবিতা আবৃত্তি” অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মোঃ সাবিরুল ইসলাম, বিভাগীয় কমিশনার, রংপুর।

বিশেষ অতিথিবৃন্দ নুরেআলম মিনা বিপিএম (বার), পিপিএম, পুলিশ কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ রংপুর, এ.এফ.এম. আনজুমান কালাম বিপিএম (বার), অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এন্ড ফিন্যান্স) রংপুর রেঞ্জ, মোঃ ফেরদৌস আলী চৌধুরী, পুলিশ সুপার, রংপুর, অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল, যুগ্ম আহবায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রংপুর, এ্যাডঃ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রংপুর সহ রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসন রংপুর, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ও বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র/ছাত্রী সহ ৫৫০/৬০০ জন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. চিত্রলেখা নাজনীন, জেলা প্রশাসক, রংপুর।

উক্ত আলোচনা সভায় বক্তাগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন। উপস্থিত বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসসহ বিশ্ব ইতিহাস, যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ, সংগ্রাম, হত্যা, গনহত্যা সম্পর্কে জানার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি নুরেআলম মিনা বিপিএম (বার), পিপিএম, পুলিশ কমিশনার, আরপিএমপি বক্তব্যের শুরুতে সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত কবিতা, “আমার পরিচয়” উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, এই ইতিহাস ভুলে যাব আজ, আমি কি তেমন সন্তান? যখন আমার জনকের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান;

তিনি বলেন, আজকে আমাদের একটি শোকের দিন। একই সাথে আজ একটি অহংবোধের দিন। আজকের দিনে কিছু বিষয় হাইলাইটস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী আমাদের সকল সম্পদ লুন্ঠন করে নিয়ে পাকিস্তানে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছিল। আমাদেরকে চাকুরী হতে বঞ্চিত করা হত। তবে পূর্ব পাকিস্তানে তাদের কিছু দোসর পাকিস্তানের সাথে আঁতাত করে চাকুরী নিত। আমরা এখন স্বাধীন। স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করছি। এজন্য আমাদেরকে স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে হবে।

আমাদের এই স্বাধীন দেশে কিছু পাকিস্তানি দোসর রয়েছে, যারা দেশের স্বাধীনতার স্বার্থকতাকে নস্যাৎ করতে চায়। এই কুলঙ্গার গোষ্টী ১৯৭৫ সালে বাংলার ইতিহাসে নির্মম ও কলংক জনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করে। তারা বারবার আমাদেরকে পিছিয়ে দিতে চায়।

আমারা কয়েকটি সংগ্রাম পার করেছি। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু ১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৬২,১৯৬৬, ১৯৬৯ সর্বশেষ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অর্জন।

মহান মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ কালো রাত্রে বাংলাদেশ পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি আগামী প্রজন্মের প্রতি ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে নিজেকে সম্মৃদ্ধ করে দেশ গড়ার আহব্বান জানান।

বক্তব্য শেষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “সুপ্রভাত” কবিতা থেকে উদ্ধৃতি দেন, “উদয়ের পথে শুনি কার বানী, ভয় নাই,ওরে ভয় নাই-
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।” প্রধান অতিথি বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধে রংপুরের বিভিন্ন ইতিহাস তুলে ধরেন। ২৫ শে মার্চ সংগঠিত বিভিন্ন গনহত্যা নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি আগামী প্রজন্মকে দেশপ্রেমিক হিসাবে ইতিহাস জানার আহব্বান জানিয়ে সকলকে ধন্যবাদ দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন। সভাপতি বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ায় জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্যে শেষ করেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *