আমিনুর রহমান বাদশা : বৃহস্পতিবার ২০ এপ্রিল রাত অনুমান ১২ টা বাজে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার কচুক্ষেত বাজারে গিয়ে আমি এবং আমার বন্ধু দৈনিক সবুজ বিপ্লব অনলাইনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এসএম বদরুল আলম বাজার থেকে ঈদের সামান্য বাজার সদাই নিয়ে বাসায় ফিরছি। কচুক্ষেত বাজারের বিপরীতে লাজ ফার্মা (ঔষধের ফার্মেসি) বিপরীত পাশ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলাম। হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাদা রঙের একটা প্রাইভেট কার এসে থেমেই কারের ডিকি খুলে এক আগন্তুক একগাদা নতুন শাড়ি ও লুঙি বের করে যাত্রীদের জন্য রিক্সা স্ট্যান্ডে অপেক্ষামান রিক্সাওয়ালাকে ডেকে ডেকে শাড়ি ও লুঙি বিতরণ করলেন।
একটু কাছে গিয়ে দেখি আগন্তুক আর কেউ নন তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু। তিনি নিজের হাতে অসহায় দুস্থ গরীব রিকশা ওয়ালা কুলি মজুরদের পবিত্র ঈদ-উল-ফেতর উপলক্ষে শাড়ী ও লুঙ্গি বিতরণ করছেন। দুর থেকে ওনার শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করার দৃশ্য অবলোকন করার লোভ সংবরন করতে পারলাম না। ক্ষানিকটা ভালোলাগার বিহ্বলতায় পেয়ে বসলো আমাদের দু’বন্ধুকে।
পুলিশ পাবলিকের ভিড় সামলাতে ব্যাস্ত হয়ে গেছে জনগণের রাস্তা পারাপারে বিঘ্নিত হলেও সবাই যেন জননেতা গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু কে দেখতে ব্যাস্ত।
গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু যে সত্যি ই একজন জনদরদী নেতা তা ওই সময় স্বচোক্ষে অবলোকন করলাম। স্বার্থক জননেতা নামটা, স্মরণ করলাম বাগদানের খলিফা হারুন উর রশিদের ইতিহাস। তিনি যেমন তার প্রজাদের সুখ দুঃখ রাতের বেলায় ছদ্দবেশ ধারণ করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বচোক্ষে অবলোকন করতেন। কারো কোন কস্ট থাকলে তা লাঘব করতেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু’র দানশীল মহানুভবতা দেখে বাগদাদের খলিফা হারুন উর রশিদের কথাই মনে পড়লো।