কুটনৈতিক বিশ্লেষক : সুদানে যুদ্ধাবস্থার কারণে সেখান থেকে বাংলাদেশে ফেরার জন্য ৬০০রও বেশি বাংলাদেশী অপেক্ষা করছেন।পোর্ট অব সুদানের একটি ক্যাম্পে বাংলাদেশীরা জড়ো হয়েছেন।প্রায় ১১ ঘণ্টার বাস ভ্রমণ করে খার্তুম থেকে পোর্ট অব সুদানে এসেছেন বেশ কিছু বাংলাদেশী। খার্তুম থেকে এ বন্দরটির দূরত্ব ৮০০ কিলোমিটারেরও বেশি। এই অঞলটি অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। সর্বমোট ১৩টি বাসে করে বাংলাদেশীদের পোর্ট সুদানে আনা হচ্ছে যার মধ্যে ১০টি বাস ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে।
বাংলাদেশীদের প্রথমে সৌদি আরবের জেদ্দায় আনার চেষ্টা চলছে। এখন বিষয়টি নির্ভর করছে সৌদি আরব নৌবাহিনীর কাছ থেকে জাহাজ পাওয়ার ওপর। সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জাহাজ পেলে সমুদ্রপথে বাংলাদেশীদের জেদ্দায় আনা হবে।
যদি ৪ তারিখেও তারা জেদ্দা পৌঁছাতে সক্ষম হয়, তাহলে ৫ তারিখ রাতের ফ্লাইট তারা ধরতে পারবে বলে আশা করছি। তবে পুরো বিষয়টি একটি আরেকটির সাথে সম্পৃক্ত। প্রতিটি ধাপের কাজ সঠিকভাবে শেষ করা গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে রাশিয়ান স্পেশাল ফোর্স এর একটি ইউনিট সুদান থেকে ২০০ জন বিভিন্ন দেশের নাগরিককে সরিয়ে নিয়েছে। সেখানেও কয়েকজন বাংলাদেশী নাগরিক রয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে তাদের গন্তব্য কোথায় তা জানা যায়নি।
সুদানের সামরিক নেতৃত্বের দুই অংশের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি তুমুল সহিংসতা শুরু হয়।খার্তুম শহরে বোমা বিস্ফোরণ, গোলাবর্ষণ অব্যাহত থাকায় যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ আগেই তাদের কূটনীতিক ও নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়। (তথ্য সূত্র : ডিফেন্স রিসার্চ ফোরাম)