অর্থনৈতিক বিশ্লেষক : বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া এমন কিছু পণ্যের ব্যপারে বলবো যা অনেকের অজানা। প্রায় শতাধিক পণ্য রফতানি করলেও এই জিনিশগুলোর কথা বেশিরভাগ মানুষই এ বিষয়ে ধারণা রাখেন না।।বাংলাদেশ থেকে যে সকল মুল্যবান পণ্য রপ্তানি হয় তা যথাক্রমে তুলে ধরা হলো।
.আগর : (দামি পারফিউম তৈরিতে ব্যবহার হয়)। জেনে অবাক হবেন, “আগর! বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া সবচেয়ে দামী পন্য। এটি বাংলাদেশের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি শিল্প।
.
ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবট : কলকারখানায় মানুষের পরিবর্তে ব্যবহৃত রোবট তৈরি হচ্ছে দেশেই। গর্বের বিষয় যে, বিভিন্ন কারখানায় ব্যবহৃত রোবট ভারত ও দঃ কোরিয়ায় রফতানি করা হয়।
এন্টিভাইরাস : ব্যাংকিং, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স যুক্ত বিভিন্ন সফটওয়ার। ভারতের বড় ব্যাংক গুলো বাংলাদেশের তৈরি এন্টিভাইরাস ব্যবহার করে। এছাড়া ইউরোপের কয়েকটি দেশে বাংলাদেশের তৈরি এন্টিভাইরাস জনপ্রিয় হচ্ছে।সারা বিশ্বে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স যুক্ত বিভিন্ন সফটওয়ার রফতানি করা হচ্ছে।(ইউক্রেন-বেলারুশ-ও-মালদোভ/)
ক্যান্সার সহ দামি অনেক ঔষধ : ঔষধ নিয়ে নতুন করে বলবো না, সারা বিশ্বের ঔষধ বাজারে আমাদের বড় প্রভাব রয়েছে।
বাই সাইকেল : বাংলাদেশ সাইকেল রফতানিতে বিশ্বে ৩য়। অনেকেই জানেন না, জার্মানি সহ বিখ্যাত বাইসাইকেল কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে সাইকেল কিনে নেয় এবং এসেম্বল করে বিভিন্ন ব্র্যান্ড হিসেবে বিক্রয় করে।
মেডিকেলের যন্ত্রপাতি :দেশে তৈরি বিভিন্ন ধরণের সিরিঞ্জ, ইনফিউশন সেট, অ্যালকোহল প্যাড, ফার্স্ট এইড ব্যান্ড, আইভি ক্যানোলা, ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেট এবং স্পাইনাল নিডল তৈরি করছে। ব্লাড টিউবিং সেট রফতানি করা হচ্ছে।দেশেই-তৈরি-হচ্ছে-চিকিৎসা-সরঞ্জাম)
.কার্গো : যাত্রীবাহী ফেরী, ছোট আকারের যুদ্ধ জাহাজ। এগুলা মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় রফতানি হয়। সামনে রফতানির লক্ষ্যে যুদ্ধজাহাজ নির্মান করার সুযোগ রয়েছে।
(তথ্য সূত্র : ডিফেন্স রিসার্চ ফোরাম)