পিংকি জাহানারা : মঙ্গলবার ৯ মে, খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় ভূমিদস্যু নামে খ্যাত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ ;প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২১ শে নভেম্বর ২০২২ তারিখ খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সাচিয়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ভূমিদস্যু নামে খ্যাত খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক হাওলাদারের বিরুদ্ধে বটিয়াঘাটার আমলী আদালতে প্রতারণা, জালিয়াতি ও আত্মসাতের মামলা দায়ের করেন মোঃ তৌহিদুর রহমান তুহিন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে বলা হয়,, বটিয়াঘাটা উপজেলার সাচিয়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জনের জমি জালিয়াতি ও ভূমিদস্যুতা করে আসছেন। আসামি ওমর ফারুক হাওলাদারের বিরুদ্ধে পেনাল কোড এর ৪২০/৪০৬/৫০৬ ধারার অপরাধ সংঘটনের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ এনে আজ দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে খুলনা প্রেসক্লাব হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভুক্তভোগী মোঃ আমিনুর ইসলাম এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
ভুক্তভোগী জানান,,খুলনা মহনগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন ৫৭, নর্থ খাল ব্যাংক রোডস্থ এলাকার
বাসিন্দা আমিনুর ইসলাম নিম্ন তপশীল বর্ণিত ০.১২৩৭৫ একর সম্পত্তি খরিদা সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ১৯৫০ সালের প্রজা স্বত্ত আইনের ১৪৩ ও ১১৭ ধারার বিধানমতে ইং ২০১৭-২০১৮ সালের ৬৮৫২নং নামপত্তন ও জমা খারিজ কেসের হুকুম মোতাবেক আর.এস ৮৫নং খতিয়ানের আর এস ১৭৮৬/১৮৫৫ নং দাগের জমির মধ্য হতে ০.১২৩৭৫ একর জমি পৃথক ১১৯নং খতিয়ানে রেকর্ড করে অনলাইন ভিত্তিক মালেকের করাদী প্রদানে ও চেক দাখিলা গ্রহণে খাসে ভোগদখলকার থেকে মামলার বাদী মোঃ তৌহিদুর রহমান (তুহিন) বরাবরে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখ অপ্রত্যাহার যোগা ১০৩০/২০২০নং পাওয়ার অব এ্যাটর্নী মূলে ক্ষমতা প্রদান করেন। বটিয়াঘাটা, ১নং জলমা ইউনিয়ন অধীন জে এল নং- ৫, বর্তমান ১৪, মৌজা- রাঙ্গেমারী মধ্যে সি.এস ১৪৭ খতিয়ানের স্থলে এস এ ২৩১ খতিয়ানের স্থলে আর এস ৮৫ নং খতিয়ানের পৃথক ৯১৯নং খতিয়ানে লিখিত সি.এস ও এস.এ ৭৪৭ ও ৭৪৮ নং দাগের স্থলে আর.এস ১৭৮৬/১৮৫৫ দাগে বিলান ০.৭৫ একর জমির মধ্য হতে খরিদা ০.১২৩৭৫ একর জমি বাদী পক্ষের দাবিকৃত নালিশী সম্পত্তি অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। নালিশী দরখাস্ত বর্ণিত আসামিদের মধ্যে শুধুমাত্র আসামি ওমর ফারুক হাওলাদারের বিরুদ্ধে পেনাল কোড এর ৪২০/৪০৬/৫০৬ ধারার অপরাধ সংঘটনের সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামি ২. গৌরাঙ্গ মন্ডল, ৩. নিমাই মন্ডল, ৪, নিতাই মন্ডল।তবে এদের বিরুদ্ধে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তদন্ত প্রতিবেদনে কোন প্রকার ত্রুটিপরিলক্ষিত হয়নি। ফলে, বাদী পক্ষের প্রার্থনা আংশিক মঞ্জুর করা হয়। শুধু মাত্র ১নং আসামি ওমর ফারুক হাওলাদারের বিরুদ্ধে ৪২০/৪০৬/৫০৬ ধারার অপরাধ সংঘটনের প্রাথমিক সত্যতা পরিলক্ষিত হওয়ায় উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে উল্লেখিত ধারার অপরাধ আমলে গ্রহণ করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে আরো জানা যায়,,আদালতে মামলা দায়েরের পর আদালত পিবিআই’র দপ্তরে বিষয়টি তদন্তের জন্য আদেশ জারি করেন।
সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন এবং বটিয়াঘাটা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দায়িত্বরত কর্মকতা মোঃ মনিরুল ইসলামকে বিষয়টি বৈধতা আছে কিনা এ ব্যাপারে তথ্য চেয়েছেন। প্রতিবেদনে তিনি গত ১৬ জানুয়ারি, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
Post Views: 250