পিংকি জাহানারা : খুলনার বাগেরহাটের মোল্লাহাটে আত্মহত্যায় প্ররোচনায় প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু ও গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শুক্রবার ১২ মে,২০২৩ সকাল ১১ টায় খুলনা প্রেসক্লাব হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বাগেরহাটের মোল্লাহাট থানার ছোট কাচনা গ্রামের সবেদ শেখের পুত্র বনি আমিন এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান,তারছোট বোন সুমাইয়া খানম (১৬) বাগেরহাটের মোল্লাহাট থানার দাড়িয়ালা গ্রামের ফেলু শেখের পুত্র নুরু শেখ (২২) এর সাথে তার প্রেমজ সম্পর্ক দির্ঘদিনের। যা এলাকার সকলেরই জানা। সেই সূত্রে আমাদের ২ পরিবারের অভিভাবকগণও বিষয়টি জানেন। এক পর্যায়ে দুই পরিবারের সর্বসম্মতিক্রমে তাদের বিবাহ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করি। তবে ছেলে বেকার থাকার কারণে ও মেয়ের বয়স কম হওয়ায় ২ পরিবারের পক্ষ থেকেই সময় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুই পরিবারের মাঝে বিয়ের কথাবার্তা পাকাপোক্ত হওয়ার কারণে ছেলে ও মেয়ের ঘনিষ্টতা বৃদ্ধি পায়। এরই সূত্র ধরে নুরু শেখ গত ৩ মে আমার বোনকে তাদের বাড়িতে সকাল ৬ টায় ডেকে নিয়ে যায় এবং তার মাধ্যমে বাবার নিকট ২৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। যা দিয়ে সে ব্যবসা করবে। কিন্তু আমার বোন টাকা দেওয়ার কথায় সায় না দেওয়ায় নুরু তাকে বিবাহ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় এবং ঐ বাড়িতে থাকা অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলে, সে যেন নুরুর সাথে কোনরকম যোগাযোগ না করে। এবং তার চরিত্র নিয়েও অনেক বাজে মন্তব্য করে। একই তারিখে দুপুর ২ টায় সুমাইয়া বাড়িতে এসে এসব কথা জানায়। এ কথা শুনে আমরা নুরুর বাড়িতে গিয়ে বিবাহের জন্যে তাদের হাতে পায়ে ধরে মিনতি করি। কিন্তু তারা আমাদের ঐ বাড়ি থেকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়।
আমার বোন এই ঘটনা শুনে গত ৪ মে সকাল ৮ টায় ক্ষোভে, দুঃখে, কষ্টে বিষ পান করে। যখন সে ছটফট করে আমরা তার নিকট গিয়ে মুখে বিষের গন্ধ পেয়ে দ্রুত মোল্লাহাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিতে বলে। সেখানে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
সম্মানিত সাংবাদিক ভাইয়েরা:
এ বিষয়ে বাগেরহাটের মোল্লাহাট থানায় মামলা রুজু করতে গেলে অজানা কারণে নিয়মিত মামলা না
নিয়ে নামমাত্র অভিযোগ নিয়ে ফেলে রেখেছে থানা কর্তৃপক্ষ। আমাদের ধারণা নুরুর বড় ভাই বাকি বিল্লাহ্ সচিবালয়ে চাকুরির সুবাদে প্রভাবশালী হওয়ায় ওসি মামলা নিচ্ছেন না।
উল্লেখ্য, এই বাকি বিল্লাহ্ ও তার বাবার কথা মতই দুই পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়েতে সম্মতি জানানো হয়। যার কারণে প্রেমিক যুগল ওৎপ্রতভাবে ঘনিষ্ঠ হতে থাকে। এবং তার ফলশ্রুতিতে আমার বোনকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে।বোনের আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান নিহত সুমাইয়া খানমের বড় ভাই বনি আমিন।
Post Views: 269