আমিনুর রহমান বাদশা : বগুড়া জেলা সদর মালগ্রামের উত্তরা ল্যাবরেটারীজ ইউনানি’র বিরুদ্ধে ভয়ংকর পর্শ্ব-প্রতিক্রিয়া যুক্ত ক্যেমিকেল সিনডেনাফিল সাইট্রেড দিয়ে সরবত জিনসিনসহ যৌন উত্তেজক ঔষধ সামগ্রী তৈরি করার মতো গুরুতর এক অভিযোগ উঠেছে, উক্ত কোম্পানির এহেন জনস্বাস্থ্য বিরোধী কর্মকান্ডে মৌন সম্মতি দিয়ে আসছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বগুড়া জেলা কার্যলয়ের কর্মকর্তা, এ খবর সংশ্লিষ্ট এলাকার ঔষধ ব্যাবসার সাথে জড়িত একটি সুত্রের।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, উত্তরা ল্যাবরেটরীজ ইউনানি’র ম্যানুফেক্সার লাইসেন্স নাম্বার -ইউ-২৬৪। উক্ত কোম্পানিতে যে সকল ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাত হচ্ছে তার মধ্যে সরবত এজমা কফ (শরবত তুলশী) ১০০ মিলি ও ৬০ মিলি সিরাপ, মুনলেক্স (শরবত মুছাফফী) ১০০মিলি, ২০০ মিলি ও ৪৫০ মিলি সিরাপ, নিউরো-মুন(শরবত গাওজবান) ১০০মিলি,২০০মিলি ও ৪৫০ মিলি সিরাপ। মিছালী ( শরবত মিছলী) ১০০ মিলি,২০০ মিলি এবং ৪৫০ মিলি সিরাপ। লিকোরাল (মাজুন) ২০০মিলি ও ৪৫০ মিলি সিরাপ। রিওসিন (শরবত বেলগিরী) ৬০ মিলি সিরাপ ( বাচ্চাদের জন্য)। মেরিগ্লোন (শরবত ফওলাদ) ৪৫০ মিলি ভিটামিন সিরাপ। ইউ-নেপল (খাকসী) ৬০ মিলি সিরাপ (বাচ্চাদের জন্য)। প্রিয়-ডি (নিসওয়ান) ৪৫০ মিলি সিরাপ। বিওজেল (নীলুফর) ২০০ মিলি সিরাপ। ইউভাটিন (শরবত মভেজ) ৪৫০ মিলি ভিটামিন সিরাপ। দিনালিভ (শরবত দিনার) ৪৫০ মিলি সিরাপ। ইউ-এলকালি( শরবত বুজুরী) ৪৫০ মিলি সিরাপ। ইউজিটেক্স ৪৫০ মিলি সিরাপ। ব্রেইনসিটি ( থানকুনি) ক্যাপসুল ৬০ টির বক্স। ম্যানসেফ ( গোক্ষুর ৫০০ এমজি) ক্যাপসুল ৬০ টির বক্স। সাতিক্যাল (ছাতিম) ৫০০ মিলি গ্রা: ক্যাপসুল ৩০ টির বক্স। এনজিট (অশ্বগন্ধা) ৫০০ মিলি গ্রা: ক্যাপসুল। লিবিক্যাপ ( হাব্বে নিশাত) ১০ টি ক্যাপসুল ১ বক্স। লিকোসেফ ( রেহমীন) ক্যাপসুল ৩০ টির বক্স। রিমিক্যাপ (হাব্বে সুরঞ্জন) ৫০০ মি গ্রা: ৩০ টির বক্স এবং নিশিজিন ( শরবত জিনসিন) ২০ মিলি, ৬০ মিলি ১০০ মিলি, ২০০ মিলি ও ৪৫০ মিলি সিরাপ উল্লেখযোগ্য।
এ সকল ঔষধের মধ্যে এজমা কফ ,নিউরো মুন, মিছালী, মেরিগ্লোন, বিওজেল, নামক সিরাপ তৈরি কালে ক্ষতিকর স্টোরয়েড এর ব্যাবহার করা হয়েছে, এছাড়াও এনজিট (অশ্বগন্ধা) লিবিক্যাপ (হাব্বে নিশাত) ক্যাপসুল ও নিশিজিন ( শরবত জিনসিন) নামক সিরাপ তৈরি কালে সনড্রেনাফিল সাইট্রেড ব্যাবহার করা হয়েছে এবং রিমিক্যাপ ( হাব্বে সুরঞ্জন) নামক ক্যাপসুল তৈরি কালে ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম বিপি, কেফেইন ও স্টোরয়েড ব্যাবহারের অভিযোগ উঠেছে।
এ সকল বিষয়ে বগুড়ার উত্তরা ল্যাবরেটারীজ ইউনানি’র মালিক মাহবুব এর বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বেশ ঔদ্ধত্যপূর্ণ নেতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করে বলেন যে, তিনি তার কোম্পানির কোন ঔষধ তৈরিকালে কোন প্রকার গাছ-গাছাড়া বা হার্বস ব্যাবহার করেন না, তিনি সম্পুর্ন কালার ফ্লেভার ও কেমিক্যাল ব্যাবহারপূর্বক ঔষধ তৈরি করেন এটা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে তার কোম্পানির নথি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ বগুড়া জেলা কার্যলয়ের কর্মকর্তা ও অবগত আছেন।বগুড়ার স্যার তো মানুষ না স্যার তো তার কাছে মহামানব বলেও উত্তরা ল্যাবরেটারীজ ইউনানি’র মালিক মাহবুব দাবি করেন।
এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বগুড়া জেলা কার্যলয়ের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি বিধায় তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।