নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর মধ্যে রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের ০২ দিনব্যাপী (২৪-২৫ মে ২০২৩) সীমান্ত সম্মেলন আজ কক্সবাজারের টেকনাফে শেষ হয়েছে।বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম পিবিজিএমএস, স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ খবর পাওয়া গেছে।
সম্মেলনে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব, বিজিবিএম, এএফডব্লিউসি, পিএসসি রিজিয়ন কমান্ডার, কক্সবাজার রিজিয়ন। অপরদিকে, মায়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের Police Brigadier General Htet Lwin, কমান্ডার, নম্বর (১) এর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের মায়ানমার প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে- বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ও বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ফলপ্রসূ এবং বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান মায়ানমার হতে অবৈধভাবে ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে পাচারের বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি অবহিত করেন।
তিনি মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিকে তাদের সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়টি আরও জোরদার করার আহবান জানান।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে মায়ানমার প্রতিনিধিদল আশ্বস্থ করেন। এছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, আন্ত:সীমান্ত সন্ত্রাস দমন ও দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহতকরণ, মায়ানমার কর্তৃক সীমান্তে Improvised Explosive Device (IED) স্থাপন, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত চুক্তি-১৯৮০ অনুযায়ী অসতর্কতা/ভুলবশত অথবা ঝড়ের কবলে পড়ে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে মায়ানমারের অভ্যন্তরে প্রবেশের ফলে আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের দ্রুত ফেরত প্রদানের বিষয়টি ত্বরান্বিত ও সহজীকরণ, সীমান্তের নানাবিধ সমস্যা নিরসনকল্পে উভয় দেশের বর্ডার লিঁয়াজো অফিস (বিএলও) এর কার্যক্রম পূর্ণরূপে সক্রিয়করণ, উভয় বাহিনীর মধ্যে ত্বরিত যোগাযোগ স্থাপনে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে যৌথ সমন্বিত টহল পরিচালনা ও পিলার পরিদর্শন ইত্যাদি বিষয়ের উপর বিস্তারিত ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
সম্মেলনে সীমান্তবর্তী জনসাধারণের নিরাপত্তা , সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, আন্ত:সীমান্ত সন্ত্রাস নির্মুল, মানব ও মাদক পাচার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করার লক্ষ্যে উভয় ডেলিগেশন প্রধান স্ব স্ব সীমান্তরক্ষী বাহিনী একসাথে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।