বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের সাড়াশি অভিযানে ৩,০০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত চট্টগ্রাম জাতীয় সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ  বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে যার ফলশ্রুতিতে (২ বিজিবি) এর সাড়াশি অভিযানে ৩,০০,০০০ (তিন লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে, এ খবর নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ, বিজিবিএমএস।


বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযানিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায়  রবিবার ২৮ মে,  টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর একটি অভিযানিক দল মাদক বিরোধী বিশেষ এক অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ আশিকানি লবনের মাঠ এলাকা থেকে  ৩,০০,০০০ (তিন লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

বিজিবি’র উর্ধ্তন কর্মকর্তারা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আরও  জানতে পারে যে, রবিবার  ২৮ মে, রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ আশিকানি লবনের মাঠ এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।

উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর হতে অধিনায়কের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল এবং সাবরাং বিওপি হতে অপর একটি চোরাচালান প্রতিরোধী টহলদল উল্লেখিত  এলাকায় গিয়ে  লবণ মাঠের আইলের আড়ি পেতে (এম্বুশ) কৌশলগত অবস্থান করে।

আনুমানিক রাত ৯ টা ২৫ মিনিটের সময়  টহলদল ৪-৫ জন ব্যক্তিকে নাফ নদী পার হয়ে বস্তা হাতে নিয়ে বেড়ীবাঁধ অতিক্রম করে সীমান্তের শূন্য লাইন হতে আনুমানিক ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বর্ণিত স্থানের দিকে আসতে দেখে।

তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে উক্ত ব্যক্তিরা দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই তাদের হাতে থাকা বস্তাগুলো ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগে দ্রুত পার্শ্ববর্তী গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া ৩ টি বস্তা উদ্ধার করে তার ভেতর হতে ৩,০০,০০০ (তিন লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) জব্দ করে।

পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় রাত ১০ টা ২৫ মিনিট  পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।তবে মাদক পাচারকারীদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ, বিজিবিএমএস,,জানান সিমান্ত এলাকা ভিত্তিক কিছু চোরাচালানী চক্র বাংলাদেশের অভ্যান্তরে বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্যসহ সোনার বার, রুপা, বিদেশি সিগারেট,  বিভিন্ন প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র , এবং ভারতীয় পোশাক সামগ্রীর চোরাচালান করে থাকে। বিজিবি ‘র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন বরাবরই চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে জাতীয় পত্র – পত্রিকা ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করছে।ভবিষ্যতে ও বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *