নিজস্ব প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলার সদর থানাস্থ দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাহমিদা সুলতানা সীমা মাসের বেশিরভাগ সময় স্কুলে অনুপস্থিত থেকেই বেতন ভাতা তুলছেন বলে জানাগেছে।
স্কুলে সরজমিন তদন্ত,তার ফেসবুক পোস্ট ও কালবের নথিপত্র পর্যালোচনা করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ফাহমিদা সুলতানা সীমা ব্যক্তিগতভাবে একজনকে নিয়োগ দিয়ে প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করান। এছাড়া স্কুলের বিভিন্ন উন্নয়ন ফান্ডের অর্থ আত্মসাত করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে ফাহমিদা সুলতানা সীমার ঘনিষ্ঠতা ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারনে তার অপকর্মের বিরুদ্ধে স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকরা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।
অন্যদিকে তিনি জাতীয় পর্যায়ের সমবায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লিঃ (কাল্ব) এ একটানা দুই মেয়াদ ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন।সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী তিনি এধরনের লাভজনক প্রতিষ্ঠানে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন না।
এখান থেকে তিনি যে ভাতা গ্রহন করেন তা স্কুলের বেতনের চেয়ে বেশি। সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একজন সহকারি শিক্ষকের দায়েরকৃত এক অভিযোগ পত্রে উক্ত তথ্য উঠে এসেছে।
তিনি দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লিঃ (কাল্ব) এর বোর্ড সভা,নির্বাহী কমিটির মিটিং,বিভিন্ন উপ-কমিটির সভা,সারা দেশে বিস্তৃত কালবের সদস্য সমবায় সমিতির এজিএম-এ অংশগ্রহন করতে তার মাসের বেশির ভাগ সময় চলে যায়।
এভাবে তিনি দিনের পর দিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকলেও জেলা ও থানা শিক্ষা অফিসার তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না।নিয়মিত উপহার উপঢৌকন পেয়ে তারা চুপটি মেরে আছেন অথচ ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম।
প্রধান শিক্ষক ফাহমিদা সুলতানা সীমার অনিয়ম দুর্নীতি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকগ।
উল্লেখ্য, দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লিঃ (কাল্ব)-এ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ফাহমিদা সুলতানা সীমাকে ৫ জুলাই-২০২৩ তারিখে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এবিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্যে ফাহমিদা সুলতানা সীমার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।