!! অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে , আসামি রাসেল আলী নিজ নামে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৩২ হাজার ৯৩৬ টাকা মূল্যের স্থাবর ও ৪১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৪২ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ১০ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৮ টাকা। তিনি বিভিন্ন সময়ে ২৮ লাখ ২৩ হাজার ৮০৬ টাকা পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ব্যয় করেছেন। এর ফলে তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ৩৮ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮৪ টাকা। এই সম্পদের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় ১ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। বাকি ১ কোটি ২৯ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭৯ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে !!
নিজস্ব প্রতিনিধি : দেড় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) রাসেল আলী ওরফে শেখ রাসেল আলী মাসুদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বুধবার ১৯ জুলাই, পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির (জনসংযোগ) কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পিএস রাসেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৩ এপ্রিল রাসেল আলীকে সম্পদবিবরণী দাখিল করতে নোটিশ জারি করে দুদক। পরদিন ৪ এপ্রিল তিনি নিজে স্বাক্ষর করে সম্পদ বিবরণীর ফরমসহ নোটিশ গ্রহণ করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা অর্থাৎ সম্পদ বিবরণী গ্রহণের পরবর্তী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণীটি কমিশনে দাখিল না করে আসামি রাসেল আলী দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় অপরাধ করেছেন।
অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে , আসামি রাসেল আলী নিজ নামে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৩২ হাজার ৯৩৬ টাকা মূল্যের স্থাবর ও ৪১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৪২ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ১০ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৮ টাকা। তিনি বিভিন্ন সময়ে ২৮ লাখ ২৩ হাজার ৮০৬ টাকা পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ব্যয় করেছেন। এর ফলে তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ৩৮ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮৪ টাকা। এই সম্পদের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় ১ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। বাকি ১ কোটি ২৯ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭৯ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
অপরদিকে রাসেল আলীর স্ত্রী নাছরিন আক্তারের বিরুদ্ধে গত ৩ এপ্রিল সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করে দুদক। পরদিন তিনি স্বাক্ষর করে সম্পদ বিবরণী ফরমসহ নোটিশ গ্রহণ করেন। এরপর নির্ধারিত ২১ কার্যদিবসে তিনি দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি। এরপর দুদকের অনুসন্ধানে তার ২৭ লাখ ২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া যায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।