রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভা, নোয়াখালী গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত বিশেষ প্রতিবেদন রাজশাহী সারাদেশ

রাজশাহী জেলার পুঠিয়া পৌরসভায় সড়ক সংস্কার কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি’র অভিযোগ 


বিজ্ঞাপন

 

রাজশাহী প্রতিনিধি  :  রাজশাহী জেলার পুঠিয়া পৌরসভায় সড়ক সংস্কার কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, রাজশাহীর হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। টিম সড়ক ও জনপদ বিভাগ রাজশাহী হতে নিরপেক্ষ প্রকৌশলী নিয়ে সরেজমিন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করে। অভিযানকালে প্রকৌশলী পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহপূর্বক ল্যাবে প্রেরণ করা হয়। টিম পুঠিয়া পৌরসভা হতে প্রকল্প সংশিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। উক্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা এবং নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর প্রতিবেদন পাওয়ার পর টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

 

নোয়াখালী  গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি’র অভিযোগ 

 

নোয়াখালী প্রতিনিধি  :  নোয়াখালী  গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকারি আবাসন প্রকল্পে নিম্নমানের কাজ করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, নোয়াখালী হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনা কালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, নোয়াখালীর একজন নিরপেক্ষ প্রকৌশলী সহ নোয়াখালী হাউজিং এলাকাস্থ সরকারি আবাসন প্রকল্প পরিদর্শন করা হয় এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর, নোয়াখালী হতে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনার জন্য  সংগ্রহ করা হয়।

এছাড়াও, উক্ত প্রকল্পের অধীন ২টি পুকুরের ৬টি ঘাটলা, পুকুর পাড়, ড্রেন, পশ্চিম পাশের বাউন্ডারি ওয়াল এর ঢালাই কাজ ডিজাইনে উল্লিখিত স্পেসিফিকেশন অনুসারে সম্পন্ন করা হয়েছে কি-না তা পরীক্ষা করতে কয়েকটি স্থান হতে স্যাম্পল সংগ্রহপূর্বক ল্যাবরেটরীতে পাঠানো হয়।পরীক্ষা রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে টিম পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবে।

 

 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সোলার প্যানেল নিয়ে দুর্নীতি 

 

কুমিল্লা প্রতিনিধি  :  কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত সোলার প্যানেল মেরামত না করে দীর্ঘদিন যাবত অকেজো অবস্থায় ফেলে রাখার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, সজেকা, কুমিল্লা হতে অদ্য একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনা কালে জানা যায়, ২০১১ সালে ৪৯.৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে ৮.৪ কিলোওয়াটের একটি সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়। কিন্তু সোলার প্যানেলটি স্থাপনের ১ বছরের মধ্যেই প্যানেলটি অকেজো হয়ে গেলে প্যানেলটি মেরামতের জন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

পরিদর্শন কালে দেখা যায়, প্রকল্পটিতে মোট ৩৬টি প্যানেল, ২৪টি ব্যাটারি ও ৩টি ইনভার্টার ব্যবহার করা হয়েছে এবং এগুলো সবই অকেজো অবস্থায় রয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি প্রকল্প সমাপ্তির ২ বছর পর্যন্ত মেরামতের দায়দায়িত্বে ছিলো এবং প্রায় দুই বছরের মাথায় তাদের জামানত ফেরত দেওয়া হয়।

রেকর্ড মোতাবেক পরবর্তী আরও ৪ বছর পর্যন্ত উক্ত কোম্পানি কর্তৃপক্ষের চাহিদা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে উক্ত প্রকল্পের যন্ত্রপাতি মেরামত করে সচল রাখার কথা থাকলেও সেগুলো সচল রাখার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোন যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি মর্মে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়।

অভিযান পরিচালনা কালে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয় এবং  ভিসিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক টিম শীঘ্রই কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *