নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথভাবে বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকান্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় টেকনাফে বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত পৃথক ৩টি অভিযানে ৪,৩৪,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার ১১ আগস্ট, রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ গফুরের প্রজেক্ট এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর হতে একটি বিশেষ আভিযানিকদল এবং নাজিরপাড়া বিওপি হতে একটি আভিযানিকদল উল্লেখিত এলাকায় গিয়ে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বেড়ীবাঁধের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে।
আনুমানিক ৩ টা ৫০ মিনিটের সময় বিজিবি টহলদল ৩ জন ব্যক্তিকে দু’টি বস্তা কাঁধে নিয়ে নাফ নদী সীমান্ত সংলগ্ন কেওড়া বাগান অতিক্রম করে গফুরের প্রজেক্টের দিকে আসতে দেখে।
তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে উক্ত ব্যক্তিরা দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই তাদের কাঁধে থাকা বস্তাগুলো ফেলে দিয়ে দ্রুত দৌড়ে নাফ নদীর পার্শ্বে ঘন কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়। টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া দু’টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বস্তার ভিতর হতে ২,০০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
এর আগে গত ১০ আগস্ট , রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ রহমানের স্লুইচ গেইট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৯৪,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। অপরদিকে একই রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ আশিকানিয়া নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১,৪০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।