নিজস্ব প্রতিনিধি : গত ১৬/০৭/২০২২ সালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর পুরাতন লাশ ঘরের সামনে থেকে ডিসিস্ট বিশ্বনাথ সরকার (৫৫), পিতা- মৃত ক্ষিতিষ সরকার, সাং- ইব্রাহিমদী, থানা- কোতয়ালী, জেলা- ফরিদপুর কে অজ্ঞাতনামা আসামীরা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে অচেতনপূর্বক তার কাছে থাকা ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক চুরি করে নিয়ে যায়। ডিসিস্ট বিশ্বনাথ সরকার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৭/০৭/২০২২ সালে সকাল ৭ টা ২৫ মিনিটের সময় মারা যায়।
এরপর মৃতের ছেলে রবি কুমার সরকার (৩৫) বাদী হয়ে কোতয়ালী থানার মামলা নং-৫৯, তারিখঃ ১৮/০৭/২০২২ ইং, ধারা- ৩২৮/৩৭৯/৩০২/৩৪ পেনাল কোড এ মামলা দায়ের করেন। উল্লেখিত মামলাটি কোতয়ালী থানা পুলিশ দীর্ঘদিন তদন্তকার্য সম্পাদন করেন। মামলাটির কোন ক্লু বা রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়াটার্স, ঢাকার নির্দেশ এ মামলাটির তদন্তভার পিবিআই ফরিদপুর জেলার উপর অর্পিত হয়।
পিবিআই হেডকোয়াটার্স স্মারক নং- ৯০৭, তাং- ১৯/১০/২০২২ ইং, মামলাটি তদন্তভার এস আই (নিঃ) অখিল কুমার বিশ্বাস এর উপর অর্পন করেন। আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার, পিবিআই ফরিদপুর জেলা পিবিআই এর চৌকস অফিসারদের নিয়ে একটি টিম গঠন করিয়া নেতৃত্ব/দিক নির্দেশনা দিতে থাকেন। এস.আই (নিঃ) অখিল কুমার বিশ্বাস ও তার টিম ফরিদপুর জেলার আনাচে কানাচে চোরাই যাওয়া ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকের সন্ধান করতে থাকেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ আগস্ট, ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর সামনে থেকে চোরাই যাওয়া ইজিবাইকের হুড/ছাউনীটি অন্য একটি ইজিবাইকে দেখতে পান এবং ছদ্মবেশে তার পিছু নিতে থাকেন। এরপর ইজিবাইকটি আটক করেন। ইজিবাইকের মালিকের সূত্র ধরে জানতে পারে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ কামাল মিয়া (৪৬), পিতা- আব্দুল হালিম মিয়া, সাং- বাখুন্ডা, থানা- কোতয়ালী, জেলা- ফরিদপুর এর কাছ থেকে অনুমান ১ বছর আগে তিনি চোরাই যাওয়া ইজিবাইকের হুডটি কেনেন ।
এরপর মোঃ কামাল মিয়াকে গ্রেফতার করিলে তিনি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন যে, হত্যা মামলায় চুরি হওয়া ইজিবাইকটি তিনি কেনা-বেচার সাথে জড়িত এবং তার স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে চোরাই হওয়া ইজিবাইটি গত ৩১ আগস্ট, উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী কামাল মিয়া’র দেওয়া তথ্য মোতাবেক গাড়িক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত অপর আসামী মোঃ সুমন আহম্মেদ (৩৬), পিতা- মৃত মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ, সাং- মানিকদহ, থানা- ভাংগা, জেলা- ফরিদপুরকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামী মোঃ কামাল মিয়া ও আসামী মোঃ সুমন আহম্মেদ কে গত ১ সেপ্টেম্বর মোঃ শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট, ৭নং আমলী আদালত, ফরিদপুর এর নিকট ফৌঃ কাঃ বিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় । উক্ত ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যহত আছে।