জামালপুর জেলা প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পাওনা টাকা চাওয়ায় মাংস ব্যবসায়ীকে মারধর ও টাকা লুট করার অভিযোগ উঠেছে ফটিক মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।মঙ্গলবার (১২সেপ্টেম্বর) দুপুরে রক্তাক্ত অবস্হায় ভুক্তভোগী মাংস ব্যবসায়ী বাবলু মিয়া( কালু) সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।ঘটনাটি উপজেলার তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে ঘটেছে।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে সরিষাবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে ব্যবসায়ী বাবলু মিয়া( কালু)’র স্ত্রী মেরী বেগম সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গেন্দার পাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীন এর ছেলে মাংস ব্যবসায়ী বাবলু মিয়া (কালু)’র কাছ থেকে একই উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের ঢুরিয়ার ভিটা গ্রামের ছবুর মিয়া’র ছেলে ফটিক মিয়া ১৫’শ টাকার মাংস একদিন পরে দাম দেওয়ার কথা বলে বাকীতে ক্রয় করেন কিন্তু দীর্ঘ কয়েক মাসেও ফটিক মিয়া বাকী টাকা পরিশোধ করেননি। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে মাংস ব্যবসায়ীর দোকানে ফটিক মিয়া গেলে তার কাছে পাওনা টাকা দাবী করেন মাংস ব্যবসায়ী কালু মিয়া।
এ সময় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মাংস ব্যবসায়ী কালু মিয়ার নাকে, মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফা ঘুষি মারলে নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন কালু মিয়া। এ সময় দোকানে থাকা প্রায় ৯০-৯৫ হাজার টাকা লুট করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় ফটিক মিয়া। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে কালু মিয়াকে উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে মাংস ব্যবসায়ী কালু মিয়া বলেন, আমার পাওনা পনের শত টাকা চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার হই। আমার মাংসের দোকানে থাকা প্রায় লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়েছেন ফটিক মিয়া। এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেন তিনি।
জানতে চাইলে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।