নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলামের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন। আজ বৃহস্পতিবার ২১ ডিসেম্বর, দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে মেয়রের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত গত ফেব্রুয়ারি মাসে শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্কে মানবিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য ডিএনসিসি মেয়রকে ধন্যবাদ জানান। এসময় রাষ্ট্রদূত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকার বস্তিতে বসবাসকারী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিদিন অসংখ্য জলবায়ু উদ্বাস্তু ঢাকায় প্রবেশ করে। বস্তিবাসীরা প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। ডিএনসিসির আওতাধীন বস্তিগুলোতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতা প্রয়োজন। সহযোগিতা প্রদান করা হলে এই শিশুরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।’
আলাপকালে বস্তিতে বসবাসকারী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের দক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষা সহায়তা, প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদানসহ ছোট ছোট খেলার মাঠ নির্মাণে যৌথভাবে কাজ করা বিষয় একমত পোষণ করেন ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম ও রাষ্ট্রদূত রামিস সেন। এসময় ডিএনসিসি মেয়র এই ধরনের উদ্যোগের ফলে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য ও তার নামে একটি পার্ক করা হয়েছে। আবার তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের নামে ঢাকার বনানীতে একটি সড়ক রয়েছে। এছাড়াও বনানীর সড়কটির সংলগ্ন একটি পার্কও কামাল আতাতুর্কের নামে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অনেক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় ঢাকা ও আঙ্কারা যৌথভাবে কাজ করার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’