বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ে কারসাজির দায়ে ১৮ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক :  বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ে কারসাজির দায়ে ,১৮ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডলারসহ বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রা বিনিময় কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে আজ বুধবার মামলাটি করেন। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


বিজ্ঞাপন

মামলার আসামিরা হলেন রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ প্রিন্সিপাল অফিসার ও বুথ ইনচার্জ আনোয়ার পারভেজ, প্রিন্সিপাল অফিসার শামীম আহমেদ, মো. আশিকুজ্জামান, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. সুরুজ জামাল, অমিত চন্দ্র দে, মো. মানিক মিয়া, সাদিক ইকবাল, মো. সুজন আলী এবং মো. হুমায়ুন কবির। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়া (ক্যাশ), মো. কামরুল ইসলাম (ক্যাশ), একই ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. সোহরাব উদ্দিন খান, মোহাম্মদ সবুজ মীর, খান আশিকুর রহমান, এ বি এম সাজ্জাদ হায়দার (ক্যাশ), সামিউল ইসলাম খান আর অগ্রণী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. আবদুর রাজ্জাক।

অন্যদিকে বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আবু তারেক প্রধান ও ব্যাংকটির সাপোর্টিং স্টাফ মো. মোশাররফ হোসেন এবং এভিয়া মানি এক্সচেঞ্জারের কাস্টমার সার্ভিসের ব্যবস্থাপক মো. আসাদুল হোসেন ও ইম্পিরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জের পরিচালক কে এম কবির আহমেদকেও আসামি করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা প্রতিদিন শত কোটি টাকার বেশি মূল্যের ডলার ও বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে আনেন। এসব ডলার জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করছে চক্রটি। জাল ভাউচারে যাত্রীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে পরে তা খোলা বাজারে বিক্রি করত চক্রটি। লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংক ও নিবন্ধিত মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হয়েও তাঁরা বেআইনিভাবে বিদেশি মুদ্রা কিনে ব্যক্তিগত লাভের জন্য খোলা বাজারে বিক্রি করতেন।

দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের বলেন, বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় বিদেশি মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় ও মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাঁরা অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে অর্থ পাচারকারী দুর্নীতিবাজদের সরবরাহ করছেন।

অবৈধভাবে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের কারণে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, অবৈধ এসব অর্থ দেশের বাইরে পাচারও হতে পারে। এখন থেকে এসব বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করা হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *