খুলনায় তামাক বিরোধী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

Uncategorized আইন ও আদালত খুলনা জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক (খুলনা)  : আজ মঙ্গলবার  ২৫ জুন  খুলনা সার্কিট হাউজে দিনব্যাপী ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে গঠিত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রশিক্ষণে জেলা প্রশাসকের পক্ষে সভাপতিত্ব করেন উপ-পরিচালক (উপসচিব), স্থানীয় সরকার, খুলনা, মোঃ ইউসুপ আলী। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন, খুলনা, ডা. শেখ শফিকুল ইসলাম।


বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতাধীন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এর সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসন খুলনা এর আয়োজনে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ), মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, এনডিসি। প্রশিক্ষণে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা, মীর আলিফ রেজা।

উপস্থাপনা পরবর্তী চারটি গ্রুপের পক্ষে, গ্রুপের তথ্য উপস্থাপন করেন যথাক্রমে, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ডা. স্বপন কুমার হালদার; বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক, ইঞ্জি. তানভীর আহমেদ; তামাক নিয়ন্ত্রণের কার্যরত সংগঠন এইড ফাউন্ডেশন এর প্রকল্প কর্মকর্তা, কাজী মোহাম্মদ হাসিবুল হক এবং খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, তৌহিদ রেজা।

অতিরিক্ত সচিব তার বক্তব্যে বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ একটি সম্মিলিত কার্যক্রম যে কারণে জেলার প্রতিটি দপ্তর নিজ নিজ অবস্থান থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। সরকার ২০৪০ সালের পূর্বেই তামাক নির্মূলের জন্য কাজ করছে আমাদের সে অর্থেই সকলের কাজ করতে হবে। তামাক কোম্পানির অপপ্রচারে কান না দিয়ে তাদের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করতে হবে। আইন অনুযায়ী প্রশাসনকেও তামাক নির্মূলে শক্তভাবে কাজ করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ই-সিগারেটের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে অগ্রসর হয়েছে এবং ই-সিগারেট নিষিদ্ধের প্রস্তাব করেছে। সিটি কর্পোরেশন তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী লাইসেন্স বাস্তবায়ন করবে ও তামাকজাত দ্রব্যের দোকানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করবে ও বিজ্ঞাপন অপসারণে ভূমিকা গ্রহণ করবে। আমাদের ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। পরিবারের সন্তান কোথায় কি করছে সে বিষয়ে আমাদের অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। তাহলেই প্রধানমন্ত্রীর টার্গেট ২০৪০ সালের পূর্বেই দেশ থেকে তামাক সম্পূর্ন ভাবে নির্মূল করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আসাদুজ্জামান আরিফ, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, খুলনা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *