গোপালগঞ্জে হোটেলে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে রাত্রিযাপন : সকালে পুরুষের লাশ উদ্ধার 

Uncategorized আইন ও আদালত খুলনা গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : গোপালগঞ্জ সদরের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে মোঃ ফেরদাউস শেখ (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে গোপালগঞ্জ সদর থানার  পুলিশ। বুধবার বিকেলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে পাথালিয়া পিঠা গার্ডেন হোটেল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ফেরদাউস শেখ টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া পার ঝনঝনিয়া গ্রামের ইমদাদুল হক শেখের ছেলে। তিনি গরুর খামারি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের আগামী সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রত্যাশী ছিলেন। পরিবারের দাবি, পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

গোপালগঞ্জ সদর থানা-পুলিশ জানায়, তারা হোটেলের কক্ষ থেকে ফেরদাউস শেখের মরদেহ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। তবে তাঁর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বিজ্ঞাপন

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিহত ব্যক্তি বাসা থেকে বের হয়।  রাত ৯টার দিকে তার ভাইয়ের মুঠোফোনে কথা হয়। তিনি মুঠোফোনে জানান, আমি টুঙ্গিপাড়ায় রাতে বন্ধুর বাড়িতে থাকবো।  সকালে তার ভাই  মুঠোফোনে কল দিলে বন্ধ পায়। পরে দুপুরে গোপালগঞ্জ থানা-পুলিশ  কল দিয়ে তার লাশ উদ্ধারের কথা জানায়। নিহতের ভাই মিজানুর জানান, তাঁর ভাই ফেরদাউস ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়িবহরে হামলা ও গাড়ি পোড়ানোর  একটি মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছিল। মিজানুর তাঁর ভাইয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

গোপালগঞ্জ সদর থানা সূত্রে  জানা  যায়, বুধবার দুপুরে পিঠা গার্ডেনের ব্যবস্থাপক তুহিন মোল্লা গোপালগঞ্জ সদর থানায় এসে জানান, রাতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলের কক্ষ ভাড়া নেন এক ব্যক্তি (ফেরদাউস শেখ)। সকালে নারীটি কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। দুপুরে ফেরদাউস শেখ নামের ওই ব্যক্তি কক্ষ থেকে বের না হলে তাঁর কক্ষে গিয়ে তাঁরা মরদেহ দেখতে পান। সদর থানার ওসি জানান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হোটেল ব্যবস্থাপকের কথার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

পিঠা গার্ডেনের মালিক ফারুক জানান,  দুজন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলের কক্ষ ভাড়া নেন। সকালে কর্মচারীরা কক্ষ বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে ভেতরে প্রবেশ করে তাঁর মরদেহ দেখতে পান। এরপর হোটেলের পক্ষ থেকে গোপালগঞ্জ সদর থানায় জানানো হয়। এ মৃত্যুর ঘটনা কীভাবে হলো, তা হোটেলের কেউ বলতে পারেনি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *