সংঘর্ষের আশংকা সীতাকুণ্ড থানায় জিডি :  কোর্টের ১৪৭ ধারা ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রেসক্লাবের রাস্তা দখল করে ভবন নির্মান 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত চট্টগ্রাম জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :  সীতাকুণ্ডে বাদী পক্ষে থানায় জিডি করার পরও দখল থামছেনা দেখে আদালতের ১৪৭ ধারা ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের চলাচলের রাস্তার উপর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে রাত দিন কাজ করে বিল্ডিং এর পিলার নির্মাণ করে ফেলেছে। পুলিশ সন্ত্রাসীদের ঠেকাতে না পারলে প্রেসক্লাবের পক্ষে জনগণ মাঠে নামলে যে কোন মূহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।


বিজ্ঞাপন

থানায় জিডি ও চট্টগ্রাম কোর্টে অবৈধ নির্মান কাজের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলার বিবরণে উল্লেখ রয়েছে,গত কয়েক দিন ধরে সন্ত্রাসী আব্বাস ও সাজ্জাদের নেতৃত্বে ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে থানায় জিডি থাকার পরও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে প্রেসক্লাবের চলাচলের রাস্তা দখল করে সেখানে বিল্ডিং এর কাজ করার জন্য পিলার নির্মাণ করে।


বিজ্ঞাপন

এতে প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ফোরকান আবু বাধ্য হয়ে প্রেসক্লাবের রাস্তার উপর দখলযজ্ঞ বন্ধ করতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।মামলা নং- ১০৭৬/২৪ইং,তারিখ- ২৬/১১/২৪ইং।মামলায় আসামী করা হয় আব্বাস, সাজ্জাদ ও নুর নাহার বেগমকে।আদালত দখলযজ্ঞকারীদের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে থানার ওসিকে নির্দেশ জারী করেন।এদিকে প্রেসক্লাব পক্ষ থানায় একটি জিডি করলেও আদালতে মামলা করার আগেই আব্বাসগং সন্ত্রাসী বাহিনী ও ১০/১২ নির্মাণ নির্মান শ্রমিক লাগিয়ে রাতদিন কাজ করে পিলার তুলে ফেলে।কারণ পুলিশ আসলে তারা কাজ বন্ধ রাখে।আবার পুলিশ চলে গেলে কাজ শুরু করে।

এদিকে আব্বাসগং একটি দলের বড় নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে দখলযজ্ঞ চালাচ্ছে অভিযোগ রয়েছে।সীতাকুণ্ড থানা আদালতের ১৪৭ ধারা নিষেধাজ্ঞা মামলা পেয়ে আসামীদের কর্তৃক চালু থাকা কাজ একঘন্টা বন্ধ থাকলেও পূনরায় কাজ চালু করে। দখলদার এই আব্বাসগং বিগত সরকারের আমলেও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রেসক্লাবের রাস্তাটি দখল করতে ব্যর্থ হয়েছিল। ৫ আগষ্টের পর আবার তারা আরেক সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখলযজ্ঞ চালাচ্ছে।এমূহুর্তে সন্ত্রাসীদের ঠেকাতে না পারলে যে কোন মূহুর্তে প্রেসক্লাবের পক্ষে জনগণ মাঠে নামলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।

উল্লেখ্য, আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া ওয়াক্‌ফ এষ্টেটের জালাল ভূঁইয়া মার্কেটের উত্তর পাশে পূর্ব পশ্চিমে প্রায় লম্বা ৩০ ফুট ও উত্তর দক্ষিণে পাশে ৬ ফুট চলাচলের রাস্তা পরিত্যক্ত অবস্হায় পড়ে থাকে।এজন্য গত ৩ বছর আগে পরিত্যক্ত উক্ত ওয়াক্‌ফ এষ্টেটের রাস্তাটি প্রেসক্লাবের সদস্যদের চলাচলের জন্য প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ এষ্টেটের মোতোয়াল্লীর কাছে অনুমিত চায়।

তখন এষ্টেটের মোতোয়াল্লী শরিয়ত উল্লাহ ৩০০  (তিনশত) টাকার ষ্ট্যাম্পে লিখিত ভাবে ব্যবহারের অনুমিত দেন এবং রাস্তাটি সংস্তার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লিখিত দায়িত্বও দেন।তারপর প্রেসক্লাবের তৎকালীন নেতৃবৃন্দ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য জেলা পরিষদে আবেদন করেন।জেলা পরিষদ আবেদনের আলোকে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে আরসিসি ঢালাই দিয়ে রাস্তাটি করে দেন।রাস্তাটি সংস্কারের পর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ রাস্তার মুখে একটি গেইট নির্মাণ করে।

জনগণ পত্রিকা পাওয়ার সুবিধার্থে রাস্তার একপাশে একজন হকারকে দায়িত্ব দেয়া হয় পত্রিকা বিক্রি করতে।গত ৫ আগষ্টে বিগত সরকারের পতন হলে ঐ কুচক্রী মহলটি আবার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ঐদিন রাতেই প্রেসক্লাবের রাস্তার মুখের গেইটটি ভেঙ্গে এবং পত্রিকার ষ্টলটির বাক্সে থাকা ৫০ হাজার টাকার চেক, ৩ হাজার টাকার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা গুলোসহ ষ্টলটি তুলে নিয়ে যায়।এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ টাকা।

এব্যাপারে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মজিবুর রহমান বলেন,আদালতের মামলার কপি পেয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নোটিশ জারী করা হয়। কিন্তু দখলদাররা বেপোয়ারা,কোন বাধা মানছেনা।পুলিশ ঘটনাস্হলে আসলে কাজ বন্ধ রাখে, পুলিশ চলে গেলা আবার শুরু করে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *