নিজস্ব প্রতিনিধি (সিলেট) : গেল ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনায় সিলেটের কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক মামলার তালিকাভুক্ত পলাতক আসামী ও কথিত সাংবাদিক নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকা সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বহুরূপী প্রতারক এনামুল কবির মুন্নাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
গতকাল দুপুরে সুনামগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে আদালতের বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট(দোয়ারাবাজার) আদালতের বিচারক এ রায় দেন।
জানা যায়, সীমান্তের চোরাকারবারি, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা, কথিত সাংবাদিক বহুরূপী প্রতারক মহব্বতপুর এলাকার রহমত আলী ছেলে এনামুল কবির মুন্না। এলাকায় চুরি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তার একটি বাহিনী নিয়ে গত ১০ জানুয়ারি ২০১৯ সালে চুরি করতে গিয়ে এক নিরীহ পরিবারের উপর হামলা করে গুরুতর আহত করে টাকা পয়সা নিয়ে গিয়ে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। এ মামলায় আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এক মাসের দণ্ডাদেশ দেন। এরপরও থেমে থাকেনি তার চাঁদাবাজি, চোরাকারবার। স্বৈরাচারী ফ্যাস্টিবাদের আমলেও সীমান্তে চোরাকারবারি, চিনতাই, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন এই চাঁদাবাজ মুন্না।
জুলাই বিপ্লবের ৫ আগস্টে ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনায় সিলেটের কোতোয়ালি থানার একটি বিস্ফোরণ মামলার আসামীও তিনি। দীর্ঘ আ.লীগের শাসনামলে ভয়ংকর চোরাকারবারি থাকলেও শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে এবং পূর্বের ন্যায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামী হয়ে পলাতক থেকেও বহাল তবিয়তে রয়েছে ছিলেন।
সুনামগঞ্জ জেলা কারাপরিদর্শক হুমায়ুন কবির জানান, এনামুল কবির মুন্না নামের একমাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
সুনামগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর মোঃ আকবর হোসেন কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাজাপ্রাপ্ত আসামি এনামুল কবির মুন্না আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এক মাসের কারাদণ্ড রয়েছে।
উল্লেখ্য, দোয়ারাবাজার উপজেলার সকল সীমান্ত এলাকাসহ চাঁদাবাজি, চোরাকারবারি, থানার দালালি, চুরি, ডাকাতি, লোপাট করে বেড়ানো এবং সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানান অপকর্মে লিপ্ত থাকা বহুরূপী প্রতারক এনামুল কবির মুন্না গেল ১০ জানুয়ারি ২০১৯ সালে সুরমা ইউনিয়নের মহব্বতপুরের এক নিরীহ পরিবারের উপর হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করে টাকা স্বর্ণালংকার আসবাবপত্র ভাংচুর ও চুরি ও হত্যার হুমকি দায়ে তার বিরুদ্ধে এই দন্ডাদেশ দেয়া হয়। এছাড়া গেল ৫ আগস্ট সাধারণ ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত মামলার পলাতক আসামি এই চোরাকারবারি মুন্না।