!! সাব-রেজিস্টার হিসেবে মাইকেল মহিউদ্দিন আব্দুল্লাহ বাংলাদেশের সবচেয়ে লোভনীয় পোস্টিং ভোগ করেছেন। তিনি আওয়ামী আমলে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দোহাই দিয়ে ব্যাপক প্রভাব দেখিয়েছেন। ঢাকার সাভার উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দায়িত্ব পালনকালে অসংখ্য দলিলে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন। তিনি দলিলদাতা-গ্রহীতা, দর্শনার্থী ও দলিল লেখকদের সাথে প্রায়ই দুর্ব্যবহার করতেন। তিনি গাজীপুর জেলার টঙ্গী থেকে রেজিস্ট্রি অফিসে দায়িত্ব পালনকালে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ আয় করেন। দায়িত্ব পালনকালে কাউকে আমলে নিতেন না। এছাড়া গাজীপুরের যুগ্ম সাব রেজিস্ট্রি অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকালে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। তবে সর্বক্ষেত্রে তার অবৈধ অর্থ উপার্জনের শেল্টারদাতা ছিলেন আনিসুল হক। তিনি স্বেচ্ছায় আওয়ামী ধরনের সাব রেজিস্টার হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। তারপর তিনি আনিসুল হকের বদান্যতায় রূপগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দায়িত্ব পালন করেছেন। এখানেও তিনি অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেন। এরপর তিনি মুন্সীগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অল্প কিছু দিন দায়িত্ব পালন শেষে তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে অবস্থিত খিলগাঁও সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে অতিসম্প্রতি যোগদান করেন। আওয়ামী আমলের পুরো সময় জুড়ে তিনি ফ্যাসিবাদের বন্দনায় ব্যস্ত ছিলেন। জয় বাংলা আর বঙ্গবন্ধু বলতে ছিলেন অজ্ঞান। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে তার অবৈধ আয় যায়েজ করতে মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করেন। যে কারণে ফ্যাসিবাদের সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে তিনি সারাদেশে রেজিস্ট্রেশন পরিবারে তার দাপট দেখিয়েছেন। কিন্তু ৫ আগস্টে স্বৈরাচার পতনের পরপর তিনি নিজেকে ছাত্রদলের সাবেক নেতা পরিচয় দিয়ে রেজিস্ট্রেশন পরিবারের ব্যাপক দৌরাত্ম্য ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চলছেন। রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের সবচেয়ে লোভনীয় অফিস হচ্ছে খিলগাঁও। যে কারণে দুর্নীতিবাজ ও বর্ণচোরা সাব-রেজিস্টার মাইকেল মহিউদ্দিন আব্দুল্লাহ উচ্চ মহলে তদবির করে খিলগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিস বেছে নিয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি রেজিস্ট্রেশন সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব পদ বাগিয়ে নেন। যে কারণে এখন তার ক্ষমতার দাপট ভয়াবহ পর্যায়ে রূপ নিয়েছে। ভয়ে কেউ কথা বলছে না। প্রতিদিন ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করেন। আওয়ামী আমলে প্রচন্ড ক্ষমতাধর এই দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্টার গত ৫ আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন সংগ্রামের ফলে সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পরে বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেও প্রকাশ্যে কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন পরিবারে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন !!

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার খিলগাঁওয়ের সাব-রেজিস্টার মাইকেল মহিউদ্দিন আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে ব্যাপক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। চাউর আছে, তিনি ছিরেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠ সহচর। ওই সময়ে দুর্নীতি করে তিনি কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে এই সাব-রেজিস্টারের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জনৈক আব্দুল মোতালেব।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ আছে, সাব-রেজিস্টার হিসেবে মাইকেল মহিউদ্দিন আব্দুল্লাহ বাংলাদেশের সবচেয়ে লোভনীয় পোস্টিং ভোগ করেছেন। তিনি আওয়ামী আমলে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দোহাই দিয়ে ব্যাপক প্রভাব দেখিয়েছেন। ঢাকার সাভার উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দায়িত্ব পালনকালে অসংখ্য দলিলে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন। তিনি দলিলদাতা-গ্রহীতা, দর্শনার্থী ও দলিল লেখকদের সাথে প্রায়ই দুর্ব্যবহার করতেন।

তিনি গাজীপুর জেলার টঙ্গী থেকে রেজিস্ট্রি অফিসে দায়িত্ব পালনকালে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ আয় করেন। দায়িত্ব পালনকালে কাউকে আমলে নিতেন না। এছাড়া গাজীপুরের যুগ্ম সাব রেজিস্ট্রি অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকালে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। তবে সর্বক্ষেত্রে তার অবৈধ অর্থ উপার্জনের শেল্টারদাতা ছিলেন আনিসুল হক। তিনি স্বেচ্ছায় আওয়ামী ধরনের সাব রেজিস্টার হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন।
তারপর তিনি আনিসুল হকের বদান্যতায় রূপগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দায়িত্ব পালন করেছেন। এখানেও তিনি অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেন। এরপর তিনি মুন্সীগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অল্প কিছু দিন দায়িত্ব পালন শেষে তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে অবস্থিত খিলগাঁও সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে অতিসম্প্রতি যোগদান করেন।
লিখিত অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, আওয়ামী আমলের পুরো সময় জুড়ে তিনি ফ্যাসিবাদের বন্দনায় ব্যস্ত ছিলেন। জয় বাংলা আর বঙ্গবন্ধু বলতে ছিলেন অজ্ঞান। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে তার অবৈধ আয় যায়েজ করতে মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করেন। যে কারণে ফ্যাসিবাদের সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে তিনি সারাদেশে রেজিস্ট্রেশন পরিবারে তার দাপট দেখিয়েছেন। কিন্তু ৫ আগস্টে স্বৈরাচার পতনের পরপর তিনি নিজেকে ছাত্রদলের সাবেক নেতা পরিচয় দিয়ে রেজিস্ট্রেশন পরিবারের ব্যাপক দৌরাত্ম্য ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চলছেন।
জানা গেছে, রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের সবচেয়ে লোভনীয় অফিস হচ্ছে খিলগাঁও। যে কারণে দুর্নীতিবাজ ও বর্ণচোরা সাব-রেজিস্টার মাইকেল মহিউদ্দিন আব্দুল্লাহ উচ্চ মহলে তদবির করে খিলগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিস বেছে নিয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি রেজিস্ট্রেশন সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব পদ বাগিয়ে নেন।
যে কারণে এখন তার ক্ষমতার দাপট ভয়াবহ পর্যায়ে রূপ নিয়েছে। ভয়ে কেউ কথা বলছে না। প্রতিদিন ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করেন।
আওয়ামী আমলে প্রচন্ড ক্ষমতাধর এই দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্টার গত ৫ আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন সংগ্রামের ফলে সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পরে বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেও প্রকাশ্যে কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন পরিবারে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন।
তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বাড়ি কসবা উপজেলায়। যে কারণে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আস্থাভাজন হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন। আইনমন্ত্রীর তদবিরের দালালির ক্ষেত্রে মাইকেল মহিউদ্দিন আব্দুল্লাহ ছিলেন সর্বাগ্রে।
তার নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে র্যব, পুলিশ ও আওয়ামী মাস্তানদের লেলিয়ে দিতেন। যে কারণে তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতেন না। বর্তমানে রাজনৈতিক রং পরিবর্তন করার কারণে সেই আগের অবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। বরং আরো ভয়াবহ রূপ তার আচরণে।
অভিযোগ আছে, রূপগঞ্জের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দায়িত্ব পালনকালে তিনি ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যে লিপ্ত হন। এ সময় দলিল লেখক ও স্থানীয় সুধী সমাজ অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্ম বিরতি পালন করেন। সেখানেও তিনি বিক্ষোভকারীদের ২০২৩ সালে বাধা প্রদান করেন এবং তাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। যে কারণে আওয়ামী আমলে কেউ ন্যায় বিচার পায়নি সেই স্বৈরাচার দুর্নীতিবাজ ক্ষমতালোভ সাব রেজিস্টার মাইকেল মহিউদ্দিন আব্দুল্লাহ কাছ থেকে। ক্ষমতা প্রতিপত্তি ও অবৈধ অর্থের জেরে সবাইকে ম্যানেজ করে ফেলার কারণে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে মাইকের মহিউদ্দিন আব্দুল্লাহর মোবাইলে কল করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।