বান্দরবান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কর্তৃক নওমুসলিম নারী কর্মচারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত চট্টগ্রাম জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মো: রমজান আলী, (বান্দরবান) : বান্দরবান জেলা মৎস্য কর্মকর্তার অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে এবং রোজি বেগম নামে এক নওমুসলিম কর্মচারীকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবান শহরের একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় ‘বান্দরবানে সচেতন ছাত্র সমাজ ’–এর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বান্দরবান জেলা সমন্বয়ক আসিফ ইকবাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পিসিসিপি বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাবিব আল মাহমুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য এস.এম. রমজান আলী।


বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিভিন্ন সময় নারী কর্মচারী নওমুসলিম জুরি বেগম’কে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে, মুসলিম ছেলেকে বিবাহ করা নিয়ে নানা ভাবে কটাক্ষ করার পাশাপাশি সেই নওমুসলিম নারীকে পোশাক ও বোরকা নিয়ে কটূক্তি করেন এমনকি পর্দা করা থেকে বিরত থাকতে বলেন।


বিজ্ঞাপন

সন্তানের অসুস্থতার জন্য ছুটি চাইলেও তিনি নানা অজুহাতে ছুটি প্রদান করেন না। কর্মচারীদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বেতন বরাদ্দ করার জন্য এবং চাকুরি স্থায়ীকরণ করার জন্য টাকা দাবি করেন। অবশেষে সেই নারী কর্মচারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ৬ই মার্চ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দাখিল করলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সেই নারীর বদলির আদেশ জারি করেন।

তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের মধ্যে আরো উল্লেখ্য করেন তিনি বিভিন্ন অজুহাতে ৩রা মার্চ ২০২৩ সালে যোগদানকৃত কর্মচারীদের কাছে থেকে বেতন বরাদ্দ নিয়ে আসার জন্য মন্ত্রণালয়কে নাস্তার খরচ দিতে হবে বলে ৬০,০০০ (ষাট হাজার) টাকা আদায় করেন এই টাকা আদায় করার জন্য সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুনুর রহমান’কে ব্যবহার করেন। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনৈতিক, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার বলে প্রতীয়মান হয়েছে ।

মৎস্য কর্মকর্তা কর্তৃক হেনস্তা ও বদলির বিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি মৎস্য বিভাগের বদলির বিষয়ে কোন কিছু জানেন না বলে জানান। সেই নারী চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে অনেকবার সাক্ষাৎ করার পরে তার বদলি স্থগিত করার বিষয়ে জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বললেও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা তা কর্ণপাত করেন নি।

অবশেষে চেয়ারম্যান মহোদয়ের হস্তক্ষেপে সেই নওমুসলিম নারীর বদলির আদেশ স্থগিত হওয়ার পরও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা উক্ত স্থগিত আদেশটি প্রত্যাহার করার জন্য অপপ্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন এবং তিনি এই বলে হুমকি দিচ্ছেন যদি বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করা না হয় তাহলে বদলিকৃত কর্মচারীদের সাসপেন্ড করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আসিফ ইকবাল আরও বলেন, বদলি স্থগিত না করায় প্রমাণিত হয় যে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি, নিয়োগ-বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *