!! টেকসই নগর গড়তে চাই সামগ্রিক পরিকল্পনা ও পরিবেশবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গি নগরায়ণ যেন মানুষের জীবনে স্বস্তি আনে, কংক্রিটের দেয়াল নয় !!


নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিকল্পিত নগরায়ণ মানে কেবল অবকাঠামো নির্মাণ নয়; এটি নাগরিক জীবনের মানোন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই নগর ব্যবস্থাপনার একটি পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া—এমন মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “শহরগুলোকে পরিকল্পনা ছাড়া সম্প্রসারণ করলে যানজট, জলাবদ্ধতা ও নাগরিক সেবার সংকট আরও বাড়বে। তাই গণপরিবহন ব্যবস্থাকে আধুনিক ও টেকসই করতে হবে। একই সঙ্গে নদী, খাল ও জলাশয় রক্ষা করতে পারলে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে দূর হবে।”

আদিলুর রহমান খান আরও বলেন, “আমরা যদি সাময়িক বা খণ্ডিত পরিকল্পনায় শহর গড়তে থাকি, সেটা দীর্ঘমেয়াদে সুফল দেবে না। টেকসই নগরায়ণের জন্য সামগ্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন জরুরি।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, “নগর উন্নয়ন শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নয়, এটি পরিবেশ রক্ষা ও মানবিক জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। আমরা যদি প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করি, নগরায়ণই আমাদের জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়াবে।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম, গৃহায়ণ অধিদপ্তরের চেয়ারম্যান ফেরদৌসী বেগম, এবং রিহ্যাব সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান।
বক্তারা বলেন, টেকসই নগর গড়তে হলে জনগণের অংশগ্রহণ, প্রযুক্তিনির্ভর নাগরিক সেবা এবং পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাঁদের মতে, নগরায়ণ যেন কেবল কংক্রিটের দেয়াল নয়, বরং মানুষের জীবনে স্বস্তি, নিরাপত্তা ও মানবিকতা বয়ে আনে—সেটিই হওয়া উচিত নগর উন্নয়নের মূল লক্ষ্য।