পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের নেছারাবাদের সুটিয়াকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হয়েছে। আগামী ২৫ জুলাই উপনির্বাচন। বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাউছ তালুকদারের অকাল মৃত্যুতে চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় নির্বাচনী আইনের ধারায় যথা সময়ে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। আর সে মোতাবেক আগামী ২৫ জুলাই উপ নির্বাচন সুটিয়াকাঠীতে।
এদিকে তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে সুটিয়াকাঠীতে বহু ভূইফোড় নেতাসহ বিতর্কিত ও যোগ্য প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। রাজাকার আলবদরের প্রজন্মও রয়েছে এবারের উপনির্বাচনে। সাবেক পিচ কমিটির নেতা প্রয়াত মন্টু আকনের ছেলে অসীম আকনও রয়েছেন। মজার বিষয় গতকাল স্থানীয় কাউন্সিলর ভোটে বিতর্কিত পরিবারের সন্তান জয়ী হয়। অবশ্য জয়ী হওয়ার পিছনে বহু গুঞ্জনের কথা প্রচারিত হচ্ছে। এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতারা চরম হতাশ হয়েছে যোগ্য নেতাদের পরাজয়ে। তবে ভিন্নমত পোষন করেন সুটিয়াকাঠীর ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। আসলে অযোগ্য লোক ও বিতর্কিত নেতা যদি হয় চেয়ারম্যান তাহলে আওয়ামী লীগের কি হবে?
এদিকে নাম না প্রকাশের শর্তে সুটিয়াকাঠীর বহু নেতা সাংবাদিককে বলেন, আসলে সমাজে একজন বিতর্কিত নেতাকে কাউন্সিলর ভোটে জয়ী করে দলের জন্য চরম ক্ষতি বয়ে এনেছেন। বিগত সময়ে মাদক ও নারীসহ নানান কাজে চরম বিতর্কিত অসীম আকন। এদিকে স্থানীয় অন্যদলের লোকজন ও একই মত প্রকাশ করেন। স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তান হবে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। সর্বশেষ বিতর্কিত হয়েছে সুটিয়াকাঠীর বালিহারীর ওয়াজ মাহফিলে। মাদকে আসক্ত হয়ে মাহফিল পন্ড করতে আসে অসীম আকন। স্থানীয় মুসল্লিরা ক্ষিপ্ত হয়ে মাদকে আসক্ত নেতাকে গনপিটুনি দেয়। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ার আগেই প্রশাসন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। অথচ আচ সেই বিতর্কিত নেতা আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী!
এ ব্যাপারে সুশিল সমাজের বিজ্ঞ মহল মিডিয়াকে বহু কথা জানান ক্ষোভের সাথে। তারা করুন হতাশার সুরে বলেন, সুটিয়াকাঠী এলাকায় কি আওয়ামী লীগের নেতাদের অকাল পড়েছে। অসীম আকনের পাশাপাশি আপন ছোট ভাইও মাদকের কারণে চরম বিতর্কিত। মোটকথা সমগ্র পরিবারটাই চরম বিতর্কিত! এলাকার প্রশ্ন তাহলে কেন বিতর্কিত নেতাকে স্থানীয় কাউন্সিলর ভোটে জয়ী করা হল। আসলে কি রহস্য লুকিয়ে আছে আগামীর জন্য। নাকি ভোটাররা মোটা অঙ্কের বিনিময়ে নিজ নিজ বিবেককে হত্যা করেছে হয়তো। আসলে সমষ্টিগত ভাবে আমাদের জাতীয় বিবেক ধ্বংস হয়ে গেছে। সামান্য লোভের কারনে আমরা জাতীর ও এলাকায় চরম ক্ষতি করছি প্রতি নিয়ত।
সর্বশেষ তথ্যমতে এলাকার সুশীল সমাজের নেতারা বলেন, স্থানীয় ভাবে বিতর্কিত নেতাকে যেন চূড়ান্ত ভাবে প্রার্থী না দেওয়ার অনুরোধ জানান উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছে। পাশাপাশি মাননীয় মন্ত্রীর কাছেও লিখিত অভিযোগ পেশ করার জোর তৎপরতা চলছে। তবে ভিন্নকথা বলেন কাউন্সিলর ভোটে জয়ী হওয়া আওয়ামী লীগের নেতা অসীম আকন। তিনি বলেন, দলের একটি পক্ষ আমার ও পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।